পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ণ সেই পুথিকে শিশু পড়চে ছড়ার মত, যুবা পড়চে কাব্যের মত এবং বৃদ্ধ তাতেই পড়চে ভাগবত । কাউকে আর নড়ে বসতে হয় নি—কাউকে এমন কথা বলতে হয় নি যে, এ জগতে আমার চলবে না, আমি একে ছাড়িয়ে গেছি—আমার জন্তে নুতন জগতের দরকার । কিছুই দরকার হয় না এইজন্তে, যে, যিনি এ পুথি পড়াচ্চেন তিনি অনন্ত নুতন—তিনি আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত পাঠকে নূতন করে নিয়ে চলেছেন— মনে হচ্চে না যে, কোনো পড়া সাঙ্গ হয়ে গেছে । এই জন্তেই পড়ার প্রত্যেক অংশেই আমরা সম্পূর্ণতাকে দেখতে পাচ্চি—মনে হচ্চে এই যথেষ্ট, মনে হচ্চে আর দরকার নেই। ফুল যখন ফুটচে তখন সে এমনি করে ফুটচে যেন সেই চরম ; তার মধ্যে ফলের আকাঙ্ক্ষা দৈন্তরূপে যেন নেই। তার S X