পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন দেখবার অবকাশ না থাকত তাহলে কেউ কোনো কালেই তাকে দেখবার অংশ করতে পারতুম না । কারণ, আমরা যে যতদূরই অগ্রসর হই না, অনন্ত যদি ধরা না দেন তবে কোনো কৌশলে কারে তাকে নাগাল পাবার সস্তাবনা কিছুমাত্র থাকে না । কিন্তু তিনি অনন্ত বলেই সৰ্ব্বত্রই ধরা দিয়েই আছেন—এই জন্তে তার আনন্দরূপের অমৃতরূপের প্রকাশ স ক ল দেশে,সকল কালে । র্তার সেই প্রকাশ যদি আমাদের মানবজীবনের মধ্যে দেখে থাকি তবে মৃত্যুর পরেও তাকে নুতন করে দেখতে পাব এই আশা আমাদের মধ্যে উজ্জল হয়ে ওঠে । মানবজীবনে সে সুযোগ যদি না ঘটে থাকে, অর্থাৎ যদি না জেনে থাকি যে, যা কিছু প্রকাশ পাচ্চে সে র্তারই আনন্দ, তবে মৃত্যুর পরে যে আরো কিছু বিশেষ সুযোগ আছে এ কথা কল্পনা করবার কোনো হেতু দেখিনে । ు