পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামঞ্জস্তা তপন সে জ্ঞানকে পায়ের তলায় চেপে ও কৰ্ম্মকে রসের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে একমাত্র নিজেই মানুষেব পরম স্থানট সম্পূর্ণ জুড়ে বস্থল, দেব তাকে ও দে আপনার চেয়ে ছোট করে দিলে, এমন কি ভাবের আবেগকে মথিত করে তোলবার জন্তে বাহিরে কৃত্রিম উত্তেজনার বাহিক উপকরণগুলিকেও আধ্যাত্মিক সাধনার অঙ্গ করে নিলে । এইরূপ গুরুতর আত্মবিচ্ছেদের উচ্ছঙ্গলতার মধ্যে মানুষ চিরদিন বাস করতে পারে না । এই অবস্থায় মানুষ কেবল কিছুকাল পৰ্য্যস্ত নিজের প্রকৃতির একাংশের তৃপ্তিসাধনের নেশায় বিহবল হয়ে থাকৃতে পারে কিন্তু তার সৰ্ব্বাংশের ক্ষুধা একদিন ন-জেগে উঠে থাকৃতে পারে না । সেই পূর্ণ মনুষ্যত্বের সর্বাঙ্গীণ আকাঙ্ক্ষাকে বহন করে এদেশে রামমোহন রায়ের আবির্ভাব হয়েছিল। ভারতবর্ষে তিনি যে কোনো (t(t