পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন ছিলেন, কারণ, ভূমার মধ্যেই আত্মাকে উপলব্ধি করবার সাধনা তার ছিল । যারা আধ্যাত্মিক অসংযমকেই আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় বলে মনে করেন তারা এই অবিচলিত শাস্তির অবস্থাকেই দারিদ্র্য বলে কল্পনা করেন, তারা প্ৰমত্ততার মধ্যে বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়াকেই ভক্তির চরম অবস্থা বলে জানেন । কি স্তু যারা মহর্ষিকে কাছে থেকে দেখেছেন, বস্তুতঃ র্যার কিছুমাত্র তার পরিচয় পেয়েছেন তার! জানেন যে তার প্রবল সংযম ও প্রশা স্ত গান্তীর্য্য ভক্তিরসের দীন তাজনিত নয়। প্রাচীন ভারতের তপোবনের ঋষির যেমন তার গুরু ছিলেন তেমনি পারস্তের সৌন্দৰ্য্যকুঞ্জের বুলবুল হাফেজ তার বন্ধু ছিলেন। তার জীবনে আনন্দ প্রভাতে উপনিষদের শ্লোক গুলি ছিল প্রভাতের আলোক এবং হাফেজের কবিতাগুলি ছিল প্রভাতের গান । হাফেজের কবিতার মধ্যে যিনি আপনার রসোচ্ছাসের

  • 28