পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগরণ সঙ্গে যখন বিশ্বের শক্তির যোগ দুইদিক থেকেই সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে তখনি জাগা । অতিথি যেমন নিদ্রিত ঘরের দ্বারে ঘ মারে, সমস্ত জগত অহরহ তেমনি করে আমাদের জীবনের দ্বাবে ঘা মারচে, বলচে জাগো । প্রত্যেক শক্তির উপরে বিরাট শক্তির স্পৰ্শ আস্চে ৭লচে জাগো । যেখানে সেই বড়র আহবানে আমাদের ছোটটি তখনি সাড়া দিচ্চে সেইখানেই প্রাণ, সেইখানেই বল, সেইখানেই আনন্দ । আমাদের হাজার তারের বীণার প্রত্যেক তারেই ওস্তাদের আঙুল পড়চে, প্রত্যেক তারটিকেই পলচে, জাগো । যে তারটি জাগ্‌চে সেই তারেই সুর, সেই তারেই সঙ্গীত । যে তার শিথিল, যে তার জাগচে না, সেই তারে আনন্দ নেই, সেই তারটিকে সেরে-তোলা বেঁধে-তোলার অনেক হঃখের ভিতর দিয়ে তবে সেই সঙ্গীতের সার্থকতার মধ্যে গিয়ে পৌছতে হয় । b">