পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন সত্য আমাদের দুঃসাধ্য সাধনের দুর্গম পথে অনায়াসে আহবান করে ; সেই সুর যখন বেজে ওঠে তখন আমরা জন্মদরিদ্রের এই চিরাভ্যস্ত কথাটা মুহূৰ্ত্তেই ভুলে যাই যে, আমবণ ক্ষুধাতৃষ্ণার জীব, আমরা জন্মমরণের অধীন, আমরা স্তুতিনিন্দায় আন্দোলিত ; সেই সুরের স্পন্দনে আমাদের সমস্ত ক্ষুদ্র সীমা স্পন্দিত হয়ে উঠে আপনাকে লুকিয়ে অসীমকেই প্রকাশ করতে থাকে । সে সুর যখন বাজেন তথন আমবা ধূলির ধূলি, তখন আমরা প্রকৃতির অতি ভীষণ প্রকাণ্ড যন্ত্রটার মধ্যে আবদ্ধ একটা অত্যস্ত ক্ষুদ্র চাকা, কাৰ্য্যকারণের শৃঙ্খলে - আষ্ট্রেপৃষ্ঠে জড়িত । তখন বিশ্বজগতের কল্পনাতীত বৃক্তত্ত্বের কাছে আমাদের ক্ষুদ্র আয়তন লজ্জিত, বিশ্বশক্তির অপরিমেয় প্রবলতার কাছে আমাদের ক্ষুদ্র শক্তি কুষ্ঠিত। তখন আমরা মাথা হেঁট করে দুই হাত জোড় করে অঙ্গোরাত্র ভয়ে ভয়ে 、b @