পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন আজ বাজুক ভূমানন্দের সেই মেঘমন্দ্র সুন্দর ভীষণ সঙ্গীত যাতে আমরা নিজেকে নিজে অতিক্রম কবে অমৃতলোকে জাগ্রত হই ! আজি আপনাব অধিকারকে বিশ্বক্ষেত্রে প্রশস্ত করে দেখি, শক্তিকে বিশ্বশক্তির সহযোগী করে দেখি, মর্ত্যজীবনকে অনন্তজীরনের মধ্যে বিধৃতরূপে ধ্যান করি । বাজে বাজে জীবনবীণা বাজে ! কেবল আমার একলার বীণ নয় – লোকে লোকে জীবনবীণা বাজে ! কত জীব, তার কত রূপ, তার কত ভাষা, তার কত সুর, কত দেশে কত কালে, সব মিলে মনস্ত আকাশে বাজে বাজে জীবনবীণা বাজে ! রূপ-বস-শব্দ-গন্ধেব নিরস্তর আন্দোলনে, স্থপ ছঃখের, জন্ম মৃত্যুর আলোক অন্ধক বের নিরবচ্ছিন্ন অtঘাত অভিঘাতে বাজে বাজে জীবনবীণা বাজে ! ধন্ত আমার প্রাণ, যে, সেই অনন্ত আনন্দসঙ্গীতের মধ্যে আমারও সুরটুকু জড়িত হয়ে “ е е ↔