পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মবোধ খেলার ঘরের মত ব্যবহার করচে, কোথাও কিছু ৰtধ চে না । জড়-জগতে যেমন, মানুষেও তেমনি । প্রাণশক্তি যে কি তা কেমন করে বলব ! পর্দার উপর পর্দা যতই তুল্লব ততই অচিন্ত্য অনন্ত অনিৰ্ব্বচনীয়ে গিয়ে পড়ব ! সেই প্রাণ একদিকে যত বড় ঐকাও রহস্তই হোকু না কেন, অীর এক দিকে তাকে আমরা কি সহজেই বহন করচি—সে আমার আপন প্রাণ। পৃথিবীর সমস্ত লোকালয়কে ব্যাপ্ত করে প্রাণের ধারা এই মুহূৰ্ত্তে অগণ্য জন্মমৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্চে, নুতন নূতন শাখাপ্রশাখায় ক্রমাগতই দুর্ভেদ্য নির্জনতাকে সজন করে তুলচে —এই গ্রাণের প্রবাহের উপর লক্ষ লক্ষ মানুষের দেহের তরঙ্গ কতকাল ধরে অহোরাত্র অন্ধকার থেকে স্বৰ্য্যালোকে উঠ চে এবং স্বৰ্য্যালোক থেকে অন্ধকারে নেবে পড়চে ! এ কি তেজ, কি বেগ, (t )