পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন খননকরা কুপটাকে আমার বলে অভিমান করতে পারি—কিন্তু যখন খুড়তে খুড়তে উৎস বেরিয়ে পড়ে, তখন কোদাল ফেলে দিয়ে সেই গৰ্ত্ত ছেড়ে বাইরে উঠে পড়তে হয়। তখন যে ঝরণাটা দেখা দেয় সে যে বিশ্বের জিনিষ—তার উপরে আমারই শিলমোহরের ছাপ দিয়ে তাকে আর সঙ্কীর্ণ অধিকারের মধ্যে ধরে রেখে দিতে পারি না । তখন সেই উৎস নিজের পথ নিজে প্রস্তুত করে নিয়ে বাইরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে—তখন আমরাই তার অনুসরণ করতে প্রবৃত্ত হই। আমাদের সাম্প্রদায়িক ইতিহাসেরও এই রকম দুই অধ্যায় আছে। যত দিন বাধা দুর করবার পাল, ততদিন আমাদের চেষ্টা, আমাদের কৃতিত্ব ; ততদিন আমাদের কাজ চারিদিক থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন, এমন কি, চারিদিকের বিরুদ্ধ, ততদিন সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িকতা অত্যন্ত তীব্র । おbr