পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মসমাজের সার্থকতা যেদিন সে শৃঙ্গ ধ্বনি করে এসেছিল সেদিন ত মনে করেছিলুম সে বুঝি মৃত্যুবান হানবে। আমাদের মধ্যে যারা ভীরু তারা মনে করেছিল ভারত বর্ষের সত্যসম্বল নেই অতএব এইবার তাকে তার জীণ আশ্রয় পরিত্যাগ করতে হল বুঝি ! কিন্তু তা হয় মি। পুথিবীর নব আগন্তুকের • সাড়া পেয়ে ভারতবর্ষের নবীন সাধকের নিৰ্ভয়ে তার বহুদিনের অবরুদ্ধ দুর্গের দ্বার খুলে দিলেন । ভারতবর্ষের সাধনভাণ্ডারে এবার পাশ্চাত্য অতিথিকে সমাদরে আহবান করা হয়েছে – ভয় নেই, কোনো অভাব নেই—এইবার যে ভোজ হবে সেই আনন্দভোজে পূৰ্ব্ব পশ্চিম এক পংক্তিতে বসে যাবে । ভারতবর্ষের সেই চিরন্তন সাধনীর দ্বার উদঘাটনই ব্রহ্মসমাজের ঐতিহাসিক তাৎপৰ্য্য। অনেক দিন দ্বার রুদ্ধ ছিল, তালায় মরচে of