পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন কিন্তু তৎসত্ত্বেও স্নিগ্ধ প্রভাত প্রতিদিনই দেবদূতের মত এসে ছিন্ন তার গুলিকে সেরেসুরে নিয়ে যে মূল সুরটিকে বাজিয়ে তোলে সেটি যেমন সরল তেমূনি উদার, যেমন শান্ত তেমনি গম্ভীর, তার মধ্যে দাহ নেই, সংঘর্ষ নেই, তার মধ্যে খণ্ড ও নেই, সংশয় নেই,— সে একটি বৃহৎ সমগ্রতার সম্পূর্ণতার স্বর —নিত্য রাগিণীর মুৰ্ত্তিটি অতি সৌম্যভাবে তার মধ্যে থেকে প্রকাশ পেয়ে ওঠে । এম্নি করে প্রতিদিনই প্রভাতের মুখ থেকে আমরা ফিরে ফিরে এই একটি কথা শুনতে পাই যে, কোলাহল যতই বিষম হোকনা কেন তবু সে চরম নয়, আসল জিনিষটি হচ্চে শাস্তম্ । সেইটিই ভিতরে আছে, সেইটিই আদিতে আছে, সেইটিই শেষে আছে । সেই জন্তই দিনের সমস্ত উন্মত্ততার পর ও প্রভাতে আবার যখন সেই শাস্তকে দেখি তখন দেখি তার মূৰ্ত্তিতে একটু С е