পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন তুলেছে তখনই সমাজে ঝড় উঠেছে। যিনি অদ্বৈতম, যিনি নিখিল জগতের সমস্ত বৈচিত্র্যকে একের সীমা লঙ্ঘন করতে দেন না তাকে একাকী ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে জয়ী হতে পাৰ্ব্বে এত বড় শক্তি কোন রাজার বা রাজ্যের আছে! কেননা সেই অদ্বৈতের সঙ্গে যোগেই শক্তি—সেই যোগের উপলব্ধিকে শীর্ণ করলেই দুৰ্ব্বলতা । এই জন্তেই অহঙ্কারকে বলে বিনাশের মুল, এই জন্তেই ঐক্যহীনতাকেই বলে শক্তিহীনতার কারণ । অদ্বৈতই যদি জগতের অস্তরতররূপে বিরাজ করেন এবং সকলের সঙ্গে যোগ সাধনই যদি জগতের মূলতত্ত্ব হয় তবে স্বাতন্ত্র্য জিনিষটা আসে কোথা থেকে এই প্রশ্ন মনে আসতে পারে । স্বাতন্ত্র্যও সেই অদ্বৈত থেকেই আসে, স্বাতন্ত্র্য ও সেই অদ্বৈতেরই প্রকাশ । জগতে এই সব স্বাতন্ত্র্যগুলি কেমন ? না গানের যেমন তান। তান যতদুর পর্য্যন্ত যাক 8 V