পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন বিশ্রাম লাভ করে । আমার মনে যেন এই আশা সৰ্ব্বদাই জেগে থাকে যে, একেবারে দূরে তুমি আমাকে কখনই যেতে দেবেন!—ফিরে ফরে তোমার মধ্যে আসতেই হবে, বার স্বার তোমার মধ্যে নিজেকে নবীন কবে নিতেই হবে । দাহ বেড়ে চলে, বোঝা ভারি হয়, ধূলা জমে ওঠে, কিন্তু এমন করে বরাবর চলে না, দিনের শেষে জননীর হাতে পড়তেই হয়— অনন্ত সুধাসমুদ্রে অবগাহন করতেই হয়, সমস্ত জুড়িয়ে যায়, সমস্ত হাল্কা হয়, ধুলার চিহ্ল থাকে না,—-একেবারে তোমারই যা সেই গোড়াটুকুতে গিয়ে পৌছতে হয়, যা কিছু আমার সে সমস্ত জঞ্জল ঘুচে যায়। মৃত্যুর আঁচলের মধ্যে ঢেকে তুমি একেবারে তোমার অবারিত হৃদয়ের উপরে আমাদের টেনে নাও —তখন কোনো ব্যবধান রথেন,−তার পরে বিরাম-রাত্রির শেষে হাতে পাথেয় দিয়ে মুখচুম্বন করে হাসিমুথে জীবনের স্বাতন্ত্র্যের ૭8