বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেরুন তাকে থাকতে হয়। যেদিন আমার বোধের মধ্যে পিতারূপে র্তার আবির্ভাব হবে সেদিন পৃথিবীতে শঙ্খধ্বনি বেজে উঠবে। ভক্তের চৈতন্তে সেদিন যে তার নবজালাভ। সংসারের স্বখে দুঃখে যখন তরঙ্গায়িত হচ্ছি চৈতন্তের মধ্যে তখন আমরা পিতৃহারা। জীবধাত্রী বস্থঙ্কর পিতার সিংহাসন বহন করছে— প্রাণের ভাণ্ডার, অল্পের ভাণ্ডার সেখানে পরিপূর্ণ। কিন্তু, অস্তরে যে দুর্ভিক্ষ, সেখানে যে পিতা নেই। সে বড়ো দৈন্য, সে পরম দারিদ্র্য । যিনি রয়েছেন সর্বত্রই, তাকে আমি পাই না। পাই না, কারণ ভক্তি নেই। যুক্তি খুজে পাওয়া সহজ, কিন্তু ভক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। আনন্দ সহজ না হলে পাওয়া যায় না। উপনিষদে বলে, মন বাক্য তাকে না পেয়ে ফিরে ফিরে আসে, কিন্তু তার আনন্দ যে পেয়েছে তার আর ভয় নেই। র্তাকে দেখা উৎসবের মধ্যে দেখা— জ্ঞানে নয়, তর্কের মধ্যে নয়। আনন্দের ভিতর দিয়ে ছাড়া কিছুই পাবার উপায় নেই। এই-যে উৎসবের আলোক জলেছে একে কি তর্ক করে কোনো মতেই পাওয়া যেত ? চোখের মধ্যে আলো পাবার আনন্দ আছে, তাই তো চোখ আলো পায় ; চোখ যে আলোর জন্য লালায়িত । এক সময়ে জীবের তো চক্ষু ছিল না— চক্ষু কেমন করে ক্রমে জীবের অভিব্যক্তিতে ফুটল ? জীবের মধ্যে আলোককে পাবার তৃষ্ণ ছিল, দেহীর দেহের পর্দার আড়ালে বিরহীর মতো সেই তৃষ্ণা জেগেছিল— তার সেই দীর্ঘ বিরহের তপস্যা সহসা একদিন চক্ষুবাতায়নের ভিতরে সার্থক হল। আলোকের আনন্দদূত তার চোখের বাতায়নে এল। আলোককে পাবার আনন্দের জন্য তপস্তা ছিল— সেই তপস্যা অন্ধ 8总霸