পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন করলে আমরা কৃতকাৰ্য্য হব বলে কোমর বাধলে চলবে ন!—বস্তুত কৃতকাৰ্য্য হব কি না তা জানি নে—কিন্তু প্রতিকূলতার সহিত ংগ্ৰাম করতে করতে আমাদের অস্তরের বাধ ক্ষয় হয়—তাতে আমাদের তেজ ভস্মমুক্ত হয়ে ক্রমশ দীপ্যমান হয়ে ওঠে এবং সেই দীপ্তিতেই, যিনি বিশ্বপ্রকাশ, আমার চিত্তে তার প্রকাশ উন্মুক্ত হতে থাকে। আনন্দিত হও, যে, কৰ্ম্মে বাধা আছে – আনন্দিত হও, যে, কৰ্ম্ম করতে গেলেই তোমাকে নানাদিক থেকে নানা আঘাত সইতে হবে এবং তুমি যেমনটি কল্পনা করছ বারম্বার তার পরাভব ঘটবে, আনন্দিত হও যে, লোকে তোমাকে ভুল বুঝবে ও অপমানিত করবে— আনন্দিত হও, যে, তুমি যে বেতনটি পাবে বলে লোভ করে বসেছিলে বারস্বার তা হতে বঞ্চিত হবে। কারণ, সেই ত সাধন । যে ব্যক্তি আগুন জালতে চায়, সে ব্যক্তির У о о