পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন গভীরতার মধ্যে প্রবেশ করেছে—নিখিলের সঙ্গে আত্মার যোগ স্থাপন করেছে । সেইজন্তে ঐশ্বৰ্য্যের উপকরণেই প্রধানভাবে ভারতবর্ষ আপনার সভ্যতার পরিচয় দেয়নি । এই সভ্যতার র্যারা কাণ্ডারী তারা নির্জনবাদী, তারা বিরলবসন তপস্বী । সমুদ্রতীর যে জাতিকে পালন করেছে তাকে বাণিজ্যসম্পদ দিয়েছে, মরুভূমি যাদের অল্পস্তন্তদানে ক্ষুধিত করে রেখেছে তারা দিগ্বিজয়ী হয়েছে—এমনি করে এক একটি বিশেষ সুযোগে মানুষের শক্তি এক একটি বিশেষ পথ পেয়েছে। সমতল আৰ্য্যাবৰ্ত্তের অরণ্যভূমিও ভারতবর্ষকে একটি বিশেষ সুযোগ দিয়েছিল। ভারতবর্ষের বুদ্ধিকে সে জগতের অন্তরতম রহস্তলোক আবিষ্কারে প্রেরণ করেছিল । সেই মহাসমুদ্রতীরের নানা সুদুর দ্বীপ দ্বীপান্তর থেকে সে যে সমস্ত সম্পদ আহরণ করে এনেছিল, সমস্ত WQX