পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন কুশসমিৎ জুগিয়েছে, তাদের প্রতিদিনের সমস্ত কৰ্ম্ম, অবকাশ ও প্রয়োজনের সঙ্গে এই বনের আদানপ্রদানের জীবনময় সম্বন্ধ ছিল। এই উপায়েই নিজের জীবনকে তারা চারিদিকের একটি বড় জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে জানতে পেরেছিলেন । চতুর্দিককে তারা শূন্ত বলে, নিজ্জীব বলে, পৃথক বলে জানতেন না। বিশ্বপ্রকৃতির ভিতর দিয়ে আলোক, বাতাস, অন্নজল প্রভৃতি যে সমস্ত দান র্তারা গ্রহণ করেছিলেন সেই দানগুলি যে মাটির নয়, গাছের নয়, শূন্ত আকাশের নয়, একটি চেতনাময় অনন্ত আনন্দের মধ্যেই তার মূল প্রস্রবণ এইটি তার একটি সহজ অমুভবের দ্বারা জানতে পেরেছিলেন—সেইজন্তেই নিশ্বাস, আলো, অন্নজল সমস্তই তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। এইজন্তেই নিখিলচরাচরকে নিজের প্রাণের দ্বারা, চেতনার দ্বারা, হৃদয়ের দ্বারা, বোধের দ্বার, নিজের আত্মার সঙ্গে \}S)