পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন বনের কাছে নিজের ঋণ স্বীকার করতে কোনো দিন লজ্জাবোধ করেনি। তপস্তাকেই সে সকল প্রয়াসের চেয়ে বেশী সন্মান দিয়েছে— এবং বনবাসী পুরাতন তপস্বীদেরই আপনাদের আদি পুরুষ বলে জেনে ভারতবর্ষের রাজা মহারাজাও গৌরব বোধ করেছেন। ভারতবর্ষের পুরাণ কথায় যা কিছু মহৎ আশ্চর্ষ্য পবিত্র, যা কিছু শ্রেষ্ঠ এবং পূজ্য সমস্তই সেই প্রাচীন তপোবন স্মৃতির সঙ্গেই জড়িত। বড় বড় রাজার রাজত্বের কথা সে মনে করে রাখবার জন্তে চেষ্টা করেনি কিন্তু নানাবিপ্লবের ভিতর দিয়েও বনের সামগ্ৰীকেই তার প্রাণের সামগ্রী করে আজ পর্য্যস্ত সে বহন করে এসেছে। মানব ইতিহাসে এইটেই হচ্চে ভারতবর্ষের বিশেষত্ব । ভারতবর্ষে বিক্রমাদিত্য যখন রাজা, উজ্জয়িনী যখন মহানগরী, কালিদাস যখন কবি —তখন এদেশে তপোবনের যুগ চলে গেছে। n ○○