পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন হল তখন প্রথমেই তপোবনের শাস্ত সুন্দর পবিত্র দৃশুটি আমাদের চোখের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়ল । সেই তপোবনে বনান্তর হতে কুশসমিং ফল আহরণ করে তপস্বীরা আসচেন এবং যেন একটি অদৃশু অগ্নি তাদের প্রত্যুদগমন করচে। সেখানে হরিণগুলি ঋষিপত্নীদের সস্তানের মত ; তারা নীবার ধান্তের অংশ পায় এবং নিঃসঙ্কোচে কুটীরের দ্বার রোধ করে পড়ে থাকে। মুনিকন্তারা গাছে জল দিচ্চেন এবং আলবাল যেমনি জলে ভরে উঠচে অমনি তারা সরে যাচ্চেন,—পার্থীরা নিঃশঙ্কমনে আলবালের জল খেতে আসে এই তাদের অভিপ্রায়। রৌদ্র পড়ে এসেছে, নীবার ধান্ত কুটীরের প্রাঙ্গণে। রাশীকৃত, এবং সেখানে হরিণরা গুয়ে রোমন্থন করচে। আহুতির মুগন্ধধুৰ বাতাসে প্রবাহিত হয়ে এসে আশ্রমোন্মুখ অতিথিদের সর্বশরীর পবিত্র করে দিচ্চে । ף ס