পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন বাক্যহীন কৰ্ম্মহীন অচেতন অন্ধকারের মধ্যে সমস্ত বিলুপ্ত হয়ে যায় কবি তেমনি করেই কাব্যের শেষ সর্গে বিচিত্র ভোগায়োজনের ভীষণ সমারোহের মধ্যেই রঘুবংশ জ্যোতিষ্কের নিৰ্ব্বাপন বর্ণনা করেছেন । কাব্যের এই আরম্ভ এবং শেষের মধ্যে কবির একটি অস্তরের কথা প্রচ্ছন্ন আছে। তিনি নীরব দীর্ঘনিশ্বাসের সঙ্গে বলচেন, ছিল কি, আর হয়েছে কি ! সেকালে যখন সম্মুখে ছিল অভু্যদয় তখন তপস্তাই ছিল সকলের চেয়ে প্রধান ঐশ্বৰ্য্য অার একালে যখন সম্মুখে দেখা যাচ্চে বিনাশ তখন বিলাসের উপকরণরাশির সীমা নেই, আর ভোগের অতৃপ্ত বহ্নি সহস্র শিখায় জলে উঠে চারিদিকের চোখ ধাধিয়ে দিচ্চে । কালিদাসের অধিকাংশ কাব্যের মধ্যেই এই দ্বন্দ্বটি সুস্পষ্ট দেখা যায়। এই দ্বন্দ্বের সমাধান কোথায় কুমারগস্তবে তাই দেখানে & X