পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন ছাড়িয়ে নিয়ে যখন দুরন্ত তপস্বিবালক তার সঙ্গে থেলা করে তখন পশুর সেই দুঃখ ঋষিপত্নীর পক্ষে অসহ হয়ে ওঠে,—সেই তপোবন শকুন্তলার অপমানিত বিচ্ছেদদুঃখকে অতি বৃহৎ শান্তি ও পবিত্রত দান করেছে । একথা স্বীকার করতে হবে প্রথম তপোবনটি মর্ত্যলোকের, আর দ্বিতীয়টি অমৃতলোকের। অর্থাৎ প্রথমটি হচ্চে যেমন-হয়েথাকে, দ্বিতীয়টি হচ্চে যেমন-হওয়া ভালো । এই “যেমন-হওয়া-ভালো”র দিকে "যেমনহয়ে-থাকে” চলেছে। এরই দিকে চেয়ে সে আপনাকে শোধন করচে, পূর্ণ করচে। *যেমন-হয়ে-থাকে” হচ্চেন সতী অর্থাৎ সত্য, আর "যেমন-হওয়া-ভালো” হচ্চেন শিব অর্থাৎ মঙ্গল। কামনা ক্ষয় কবে তপস্তার মধ্য দিয়ে এই সতী ও শিবের মিলন হয়। শকুন্তলার জীবনেও "যেমন-হয়ে-থাকে” তপস্তার দ্বারা 《动