পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন কিন্তু সে মনের তপস্তা, জ্ঞানের তপস্তা । বোধের তপস্যা নয় । জ্ঞানের তপস্তায় মনকে বাধামুক্ত করতে হয়। যে সকল পুৰ্ব্বসংস্কার আমাদের মনের ধারণাকে এক-বোকা করে রাখে তাদের ক্রমে ক্রমে পরিষ্কার করে দিতে হয় । যা নিকটে আছে বলে বড় এবং দুরে আছে বলে ছোট, যা বাইরে আছে বলেই প্রত্যক্ষ এবং ভিতরে আছে বলেই প্রচ্ছন্ন, যা বিচ্ছিন্ন করে দেখলে নিরর্থক, সংযুক্ত করে দেখলেই সার্থক তাকে তার যাথার্থ্য রক্ষা করে দেখবার শিক্ষা দিতে ट्रेभ्रे ! বোধের তপস্তার বাধা হচ্চে রিপুর বাধা । প্রবৃত্তি অসংযত হয়ে উঠলে চিত্তের সাম্য থাকে ন সুতরাং বোধ বিকৃত হয়ে যায়। কামনার জিনিষকে আমর শ্রেয় দেখি, সে জিনিষটা সত্যই শ্রেয় বলে নয়, আমাদের কামনা আছে বলেই ; লোভের জিনিষকে আমরা বড় দেখি ゲ>