পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন স্বতন্ত্র করে দেখায় বলেই তাকে বড় মনে হয় কিন্তু আসলে সে ক্ষুদ্র । ভারতবর্ষ এই প্রবল তাকে চায় নি, সে পরিপূর্ণতাকেই চেয়েছিল। এই পরিপূর্ণতা নিখিলের সঙ্গে যোগে—এই যোগ অহঙ্কারকে দূর করে বিনম্র হয়ে । এই বিনম্রতা একটি আধ্যাত্মিক শক্তি, এ দুৰ্ব্বল স্বভাবের অধিগম্য নয়। বায়ুর যে প্রবাহ নিত্য, শান্ততার দ্বারাই ঝড়ের চেয়ে তার শক্তি বেশি–এই জন্তেই ঝড় চিরদিন টিকতে পারে না, এই জন্তেই ঝড় কেবল সঙ্কীর্ণ স্থানকেই কিছুকালের জন্ত ক্ষুব্ধ করে— আর শাস্ত বায়ুপ্রবাহ সমস্ত পৃথিবীকে নিত্যকাল বেষ্টন করে থাকে। যথার্থ নম্রতা, যা সাত্বিকতার তেজে উজ্জল, যা ত্যাগ ও ংযমের কঠোর শক্তিতে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত সেই নম্রতাই সমস্তের সঙ্গে অবাধে যুক্ত হয়ে সত্যভাবে নিত্যভাবে সমস্তকে লাভ করে । সে কাউকে দূর করে না, বিচ্ছিন্ন করে না, ఏ\లి