পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চদশ সংস্করণ)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোট ও বড় দিকে অন্ত আকারে সে যেন নিজেরই আরাধনা না হয় ; একদিকে নিজের শক্তি নিজের হৃদয়বৃত্তিগুলি দিয়েই তার সেবা হবে, আর একদিকে নিজেরই রিপুগুলিকে ধৰ্ম্মের রসে সিক্ত করে সেবা করবার উপায় করা যেন না श्ब्र । অনন্তের মধ্যে দূরের দিক এবং নিকটের দিক দুইই আছে ; মানুষ সেই দূর ও নিকটের সামঞ্জস্তকে যে পরিমাণে নষ্ট করেচে সেই পরিমাণে ধৰ্ম্ম যে কেবল তার পক্ষে অসম্পূর্ণ হয়েচে তা নয় তা অকল্যাণ হয়েচে । এইজন্তেই মানুষ ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়ে সংসারে যত দারুণ বিভীষিকার স্বষ্টি করেচে এমন সংসারবুদ্ধির দোহাই দিয়ে নয়। আজ পর্য্যন্ত ধৰ্ম্মের নামে কত নরবলি হয়েচে এবং কত নরবলি হচ্চে তার আর সীমাসংখ্যা নেই। সে বলি কেবলমাত্র মানুষের প্রাণের বলি নয়, বুদ্ধির বলি, দয়ার বলি, প্রেমের বলি। আজ পর্য্যন্ত কত ル》