পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তিনিকেতন তা ছাড়া আর একটা জিনিষ দেখতে পাই । যখন বাসনার অমুগামী হয়ে বাহিরের সহস্র রাজাকে প্রভু করেছিলুম তখন ষে বেতম মিলত তাতে ত পেট ভরত না । সেই জন্তেই মানুষ বারম্বার আক্ষেপ করে বলেছে বাসনার চাকরি বড় দুঃখের চাকরি । এ’তে যে খাগু পাই তাতে ক্ষুধা কেবল বাড়িয়ে তোলে এবং সহস্রের টানে ঘুরিয়ে মেরে কোনো জায়গায় শাস্তি পেতে দেয় না । আবার ইচ্ছার অনুগত হয়ে ভিতরের এক একটি অভিপ্রায়ের পশ্চাতে যখন ঘুরে বেড়াই তখনে ত অনেক সময়ে মেকি টাকায় বেতন মেলে । শ্রান্তি আসে, অবসাদ আসে, দ্বিধ আসে। কেবলি উত্তেজনার মদিরার প্রয়োজন হয় -শাস্তির ও অভাব ঘটে । বাসনা যেমন বাহিরের ধন্দায় ঘোরায়, ইচ্ছা তেমনি ভিতরের ধন্দায় ঘুরিয়ে মারে, এবং শেষকালে মজুরি দেবার বেলায় ফাকি দিয়ে সায়ে । Su