পাতা:শান্তিনিকেতন (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহং তা যদি না দেন তবে তিনি যে-থেলt খেলেন সেই আনন্দের খেলায়, সেই স্বষ্টির খেলায়, আমার আত্মা একেবারেই যোগ দিতে পারে না । তাকে খেলা বন্ধ করে হতাশ হয়ে চুপ করে বসে থাকতে হয়। সেই জন্য তিনি কাঠবিড়ালীর পিঠে করুণ হাত বুলিয়ে বলেন, বাবা, কালসমুদ্রের উপরে তুমিও সেতু বাস্থচ বটে—সবাস তোমাকে ! এই যে তিনি আমার বলবার অধিকার দিয়েছেন—এই অধিকারটি কেন ? এর চরম উদ্দেশুটি কি ? এর চরম উদ্দেশু এই যে পরমাত্মার সঙ্গে আত্মার যে একটি সমান ধৰ্ম্ম আছে সেই ধৰ্ম্মটি সার্থক হবে। সেই ধৰ্ম্মটি হচ্চে স্বষ্টির ধৰ্ম্ম অর্থাৎ দেবার ধৰ্ম্ম । দেবার ধৰ্ম্মই হচ্চে আনন্দের ধৰ্ম্ম । আত্মার যথার্থস্বরূপ হচ্চে আনন্দময়স্বরূপ—সেই স্বরূপে সে স্বষ্টিকৰ্ত্তা, অর্থাৎ দাতা। সেই স্বরূপে সে কৃপণ নয়, २१