পাতা:শান্তিনিকেতন (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন দেখে যদি শাসন করে দেওয়া যায় যে যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত নিঃশেষে ব্যাকরণের সমস্ত নিয়মে না পাক হতে পারবে ততক্ষণ ভাষায় শিশুর কোনো অধিকার থাকবে না ; ততক্ষণ তাকে কথা শুনতে বা পড়তে দেওয়া হবে না, এবং সে কথা বলতেও পারবে না ; তা হলে ভাষাশিক্ষা তার পক্ষে যে কেবল কষ্টকর হবে তা নয় তার পক্ষে অসাধ্য হয়ে উঠবে। শিশু মুখে মুখে যে ভাষা গ্রহণ করচে– ব্যাকরণের ভিতর দিয়ে তাকেই আবার তাকে শিখে নিতে হবে—সেটাকে সৰ্ব্বত্র পাকা করে নিতে হবে—কেবল সাধারণভাবে মোটামুটি কাজ চালাবার জন্তে নয়, তাকে গভীরতর, উচ্চতর, ব্যাপকতর ভাবে শোনা বলা ও লেখায় ব্যবহার করবার উপযোগী করতে হবে বলে রীতিমত চর্চার দ্বারা শিক্ষা করতে হবে। একদিকে পাওয়া আর একদিকে শেখ । পাওয়াটা মুথের থেকে মুখে, প্রাণের থেকে ヒr8