२ध्र*२ শাস্তিনিকেতন বেড়া দিয়ে সংকীর্ণ করলে, তাতে আমাদের ভরসাকে কমিয়ে দেয়— যা আমাদের পাবার তা পাই নে, যা পারবার তা পারি নে। কিন্তু, মহাপুরুষেরা আমাদের কাছে যখন মহৎ লক্ষ্য স্থাপিত করেছেন তখন র্তারা আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করছেন। বুদ্ধ আমাদের কারও প্রতি অগ্রদ্ধা অনুভব করেন নি যখন তিনি বলেছেন ‘মানসং ভাবয়ে অপরিমাণং। যিশু আমাদের মধ্যে দীনতমের প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেন নি যখন তিনি বলেছেন "তোমার পিতা যেমন সম্পূর্ণ তুমি তেমনি সম্পূর্ণ হও’ i র্তাদের সেই শ্রদ্ধায় আমরা নিজের প্রতি শ্রদ্ধালাভ করি। তখন আমরা ভূমাকে পাবার এই দুরূহ পথকে অসাধ্য পথ বলি নে, তখন আমরা তাদের কণ্ঠস্বর লক্ষ ক’রে, তাদের মাভৈঃবাণী অনুসরণ ক’রে এই অপরিমাণের মহাযাত্রায় আনন্দের সঙ্গে যাত্রা করি । যিশুর বাণী অত্যুক্তি নয়। যদি শ্রেয় চাও তবে এই সম্পূর্ণসত্যের সম্পূর্ণতাই শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করে। একবার ভিতরের দিকে ভালো করে চেয়ে দেখো— প্রতিদিন কোনখানে ঠেকছে। একজন মানুষের সঙ্গেও যখন মিলতে যাচ্ছি তখন কত জায়গায় বেধে যাচ্ছে। তার সঙ্গে মিলন সম্পূর্ণ হচ্ছে না। ংকারে ঠেকছে, স্বার্থে ঠেকছে, ক্রোধে ঠেকছে, লোভে ঠেকছে— অবিবেচনার দ্বারা আঘাত করছি, উদ্ধত হয়ে আঘাত পাচ্ছি। কোনোমতেই সেই নম্রতা মনের মধ্যে আনতে পারছি নে যার দ্বারা আত্মসমর্পণ অত্যন্ত সহজ এবং মধুর হয়। এই বাধা যখন স্পষ্ট রয়েছে দেখতে পাচ্ছি, তখন আমার প্রকৃতিতে ব্রহ্মের সঙ্গে মিলনের বাধা যে ংখ্য আছে তাতে কি আর সন্দেহ আছে ? যাতে আমাকে একটি মাহুষের সঙ্গেও সম্পূর্ণভাবে মিলতে দেবে না তাতেই ষে ব্রহ্মের সঙ্গেও মিলনের বাধা স্থাপন করবে। যাতে প্রতিবেশী পর হবে তাতে তিনিও