*@e a | শাস্তিনিকেতন দেখবার জিনিস সন্ধান বা নির্মাণ করবে না। এই হলেই আত্মা আশ্রয় পাবে, আনন্দ পাবে। এমনি করে তো নিখিলের মধ্যে র্তাকে জানবে। আর, ভোগ করবে কী ? না, তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ । তিনি যা দান করেছেন তাই ভোগ করবে। মাগৃধঃ কস্তস্বিদ্ধনম্। আর-কারও ধনে লোভ করবে না। এর মানে হচ্ছে এই যে, যেমন জগতে যা-কিছু আছে তার সমস্তই তিনি পরিপূর্ণ করে আছেন এইটেই উপলব্ধি করতে হবে, তেমনি তুমি যা-কিছু পেয়েছ সমস্তই তিনি দিয়েছেন বলে জানতে হবে। তা হলেই কী হবে ? না, তুমি যা-কিছু পেয়েছ তার মধ্যেই তোমার পাওয়া তৃপ্ত হবে। “আরও-কিছু যোগ করে দাও এটা আমাদের প্রার্থনার বিষয় নয়— কারণ, সেরকম দিয়ে দেওয়ার শেষ কোথায় ? কিন্তু, আমি যা-কিছু পেয়েছি সমস্তই তিনি দিয়েছেন, এইটেই যেন উপলব্ধি করতে পারি। তা হলেই অল্পই হবে বহু, তা হলেই সীমার মধ্যে অসীমকে পাব। নইলে সীমাকেই ক্রমাগত জুড়ে জুড়ে বড়ো করে কখনোই অসীমকে পাওয়া যায় না— এবং কোটির পরে কোটিকে উপাসনা করেও সেই একের উপাসনায় গিয়ে পৌছনো যেতে পারে না। জগতের সমস্ত খণ্ড প্রকাশ সার্থকতা লাভ করেছে তার অখণ্ড প্রকাশে এবং আমাদের অসংখ্য ভোগের বস্তু সার্থকতা লাভ করেছে তারই দানে। এইটেই ঠিকমত জানতে পারলে ঈশ্বরকে পাবার জন্যে কোনো বিশেষ স্থানের কোনো বিশেষ রূপের দ্বারে স্বারে ঘুরে বেড়াতে হয় না। এবং ভোগের তৃপ্তিহীন স্পৃহা মেটাবার জন্যে কোনো বিশেষ ভোগের । সামগ্রীর জন্যে বিশেষভাবে লোলুপ হয়ে উঠতে হয় না। ১৭ চৈত্র