পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মসমপণ \סאפי ס যে : কোহেবাস্থ্যাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ বদেষ আকাশ আনন্দো ন স্তাৎ ৷ আমার শরীর মনের তুচ্ছতম চেষ্টাটিও থাকত না যদি আকাশপরিপূর্ণ আনন্দ না থাকতেন ; তারই আনন্দ শক্তিরূপে ছোটো বড়ো সমস্ত ক্রিয়াকেই চেষ্টা দান করছে। অামি আছি তারই মধ্যে, আমি করছি র্তারই শক্তিতে এবং আমি ভোগ করছি তারই দানে, এই জ্ঞানটিকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো সহজ করে তুলতে হবে—এই আমাদের সাধনার লক্ষ্য। এই হলেই জগতে আমাদের থাকা করা এবং ভোগ, আমাদের সত্য মঙ্গল এবং স্থখ, সমস্তই সহজ হয়ে যাবে— কেননা, যিনি স্বয়স্থ, যার জ্ঞান শক্তি ও কর্ম স্বাভাবিক, র্তার সঙ্গে আমাদের যোগকে আমরা চেতনার মধ্যে প্রাপ্ত হব। এইটি পাওয়ার জন্যেই আমাদের সকল চাওয়া । ১৮ চৈত্র সমগ্ৰ এক পরমাত্মার মধ্যে আত্মাকে এইরূপ যোগযুক্ত করে উপলব্ধি করা এ কি কেবল জ্ঞানের দ্বারা হবে ? তা কখনোই না। এতে প্রেমেরও প্রয়োজন । কেননা, আমাদের জ্ঞান যেমন সমস্ত খণ্ডতার মধ্যে সেই এক পরম সত্যকে চাচ্ছে তেমনি আমাদের প্রেমও সমস্ত ক্ষুদ্র রসের ভিতরে সেই সকল রসের রসতমকে, সেই পরমানন্দস্বরূপকে চাচ্ছে— নইলে তার তৃপ্তি নেই। I জীবাত্মা ষা-কিছু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে পেয়েছে তাই সে পরমাত্মার মধ্যে অসীমরূপে উপলব্ধি করতে চায়। : - নিজের মধ্যে আমরা কী কী দেখছি ?