পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনজনকে সুযোগ দিতে হবে গরম মাথা ঠাণ্ড করে দেবার। নইলে এই নির্জন নদীর ধারে এই হি হি হাওয়ায় নিশ্চিত মৃত্যু। খেয়াঘাটের চালার বাইরে অশথ গাছটার নীচে এসে দাড়ায় সুখেন্দু। ওপার পর্যন্ত দৃষ্টি চালিয়ে দেখতে চেষ্টা করে শাস্তুর নৌকোয় আলো জ্বলে কি না । আর তখনই চোখে পড়ে দিগন্তকঁপানে আওয়াজ তুলে এপারে এগিয়ে আসা ইন্দ্রের পুষ্পক রথটাকে। হঠাৎ যেন চিলের ছো। মারার কায়দায় মাটির দিকে মুখ বাঁকিয়ে সোজা এসে আছাড় পেয়ে পড়ল শাস্তুর চালাটায়। দেখতে দেখতে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল আগুন । চোখের সামনে আকাশভাঙা দুর্ঘটনায় ভেঙে চুরমার হয়ে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল শাস্তুর दफु फ्रॉब्लांघद्रप्रे । আগে বড় চালার দাওয়ায় রান্না করত গঙ্গা । সারা শীতকালটা দাওয়ার উনুনের ধোয়া আর ডাল সম্বরের ঝাঁঝ ঘুম ভাঙিয়ে কাতর করত বাচ্চ দুটােকে। যুদ্ধের বাজারে দুটাে পয়সা বাড়তি হাতে আসতে বাশবনের গা ঘেষে দুটো আস্ত করোগেট টিনের চালা খাটানো বঁাশমাটির রান্নাঘর বানিয়ে দিয়েছে শাস্তু। তার আর চিহ্নটুকু নেই। ԳԾ)