পাতা:শারদ কুসুম.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১২ ) ভিখারিণী বলে ; কিন্তু যথার্থ বলছি জয়া ! পতির প্রেম থাকিলে—দিনান্তে একবার মাত্রও যদি প্রিয়সম্ভাষণের পাত্ৰী হই—একবার মাত্র ও যদি স্বামীর অনুরাগ দৃষ্টির ভাজন হতে পারি – তা হলে আমি পৃথিবীর সম্পদকে তৃণ বা ভস্ম অপেক্ষাও তুচ্ছ জ্ঞান করি। রাগিণী বিবিট, তাল কাওযালি। ভিখাবিণী সবে বলে, তাহে ব্যথা নাহি মনে । কত যে অনিন্দ প্রাণে পতিপ্রেমসম্ভাষণে । সতত বাসনা চিতে সোহাগ পতিব – তা হতে কি আশা বল আছে কামিনীব? বঞ্চিত হলে সে ধনে কি সুখ ছাব জীবনে । পবিত্র হৃদযে যদি স্বামী সেবে নাধী— বিমল শোভায শোভে আনন তাহাবি– অতুল তাহাবি কাছে ধন সম্পদ ভূবনে ৷ আমার মৃগশাবক, ছটকে নিযে যে তিনি আদর করেন – আমার প্রিয় বস্তু ষে তাহার ও প্রিয়, এ ভাবলে আমার প্রাণে যে কি আহলাদ হয় তা আর বলতে পারি নে ! (ব্যস্তভাবে জয়া! আমি যে কচিপাতা গুলি রেখে এসেছিলাম, সে গুলি শাবক দুটকে খাইয়েছ ত ?