পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७९ শিক্ষক । ছন, কিন্তু জন সাধারণ র্তাহাকে ক্ষুদ্র পশু ভিন্ন আর কিছুই বলিয়া ব্যাখ্যা করে না। দুরাচার ব্যক্তি মাত্রেই স্বীকার করিবেন, যে অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়াভিনয়ে মুখোৎপত্তি হওয়া দূরে থাকুক বরং সচরাচর অব্যবহিত স্থণা ও বৈরক্তি উৎপাদিত হয়। উত্তেজনার কালে একাগ্রতা নিবন্ধন স্বপ্নবৎ সুখের অনুভব কি অনুমান হয় ; কিন্তু সন্তোগান্তে জীবন ভারবহ, শরীর ক্লেশকর এবং সময়ে সময়ে আত্মকৃত কার্ধে ঘৃণাও অনুভূত হয়। এতাদৃশ ব্যাপার বহুকের নাদ, হঠাৎ ঝঞ্জাবাত, অথবা দুৰ্দম্য স্রোতের তুল্য। দেখিতে দেখিতে, শুনিতে শুনিতেই নীরব হয়। নীরব হইলে ই তৎসহ তাহার আড়ম্বর দূর হইল। নিকৃষ্ট-বৃত্তির অধীন হইবার সময় তজ্জনিত বিষ-প্রদ ভাবী ফল কিছুই লক্ষ্য হয় না। প্রথমতঃ, এই সমস্ত আমোদ সাময়িক সুখ সম্ভোগের প্রকৃষ্ট উপায় বলিয়। প্রতীত হয়। বিষধরের শারীরিক সৌন্দৰ্য সন্নিভ বাহ্যিক মুখামুভবে ইহাদিগের আভ্যন্তরিক কালকূট দৃষ্টিগোচর হয় না। হুরাশাপূর্ণ সতেজ যুব মনে মনে বিবেচনা করেন “ আমি ত ইহাতে রত হইয়া থাকিব না ; কেবল সময়ে সময়ে মুখেচ্ছা হইলে রিপু-সেবা, মদ্যপানাদি করিব। যদি অনুরাগ জন্মিতে না দিলাম তবে কিসে নষ্ট হইব। ” যৌবন-সুলভ রক্তোম্মত নিবন্ধন ঈদৃশ শূন্যগর্ভ-চিন্তা হইতে পারে ; কিন্তু বল দেখি, দুরূহ জোতে ঝাপ দিলে শরীরের বল কোথায় থাকে ? জীবন সকলেরি নিকট প্রিয়। মক্ষিক মরিবে বলিয়া মধুপান করিতে আইসে না ; কিন্তু লোত এত সৰ্ব্বনাশের মুলাধার যে মত্ত মক্ষিক সকল বিপদ বিস্তৃত হইয় পরিশেষে মুখের মধ্যে জীবন নষ্ট করে। প্রথমে গোপনে, পরে অৰ্দ্ধ প্রকাশিত, এইরূপ করিতে করিতে অন্যান্য লক্ষ্য ভুলিয়৷ ইন্দ্রিয়সেবা শিরস্ত্রাণ স্বরূপ হইয় পড়ে। তখন সুখাভিলাষ, মুখচিন্তা, উপযুপিরি আমোদ প্রমোদ সম্ভোগ এই সকল ব্যাপারে দিবানিশি অতিবাহিত হয়। গম্ভীর চিন্তা মনে আর স্থান প্রাপ্ত