পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । • লেন। তঁহাদিগের আগমনের সঙ্গে অন্যান্য নানাবিধ বিরোধীয় ঘটনার মধ্যে অসুস্থ সভ্যতা এবং অপরিমিত বৈজাত্য বাণিজ্য স্রোতঃ . প্রবাহিত হইয় দেশ অর্থশূন্য হইয় পড়িয়াছে। এক্ষণ অর্থ * ঈদৃশ মূল্যবান হইয়াছে যে সাধারণ মনুষোর পক্ষে তাহ ভুলভ। দেশের সমগ্র দ্রব্য বাণিজ্য জোতে বহির্গত হইয়া গিয়া তদ্বিনিময়ে আমরা অসামঞ্জস্য সভ্যতার অবশ্যকীয় দ্রব্যজাত পাছতেছি । তাহাতে দেশের কিছুই উন্নতি হইতেছে না বরং ক্রমেই ধন শোষিত হইয়। মাইতেছে। এই বিষম দুরবস্থা দূরীকৃত করা দেশহিতৈষী ব্যক্তিমাত্রেরই মুখ্য কৰ্ত্তব্য ; কিন্তু অম্মদেশীয় ভূম্যধিকারীগণ মনোযোগী না হইলে সফলযত্ব হওয়ার কোন উপায় নাই। ই হার প্রজার একমাত্র উপায় । এবং দেশের প্রকৃত মঙ্গলসাধনেরও প্রধান আধার। অনেক জমিদারের কুসংস্কার আছে যে, প্রজাপীড়ন করিয়া অধিকার এবং কোষ বৃদ্ধি করাই তাহাদিগের কৰ্ত্তব্য । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে র্তাহারণ কিছুমাত্র দূরদর্শন করেন না। বাণিজ্য এবং কৃষিকাৰ্য জাতীয়ধনের প্রক ট পস্থা ; কিন্তু এতদুভয় জন সাধারণের উদ্যম ভিন্ন কখনই উন্নতি লাভ করিতে পারে না। এক ব্যক্তি বাণিজ্য করিলে ধন বৃদ্ধি হয় না, বৰ্ত্তমান নিকৃষ্ট প্রণালী সংশোধিত না হইলেও কৃষিকাৰ্য্য বিশেষ লভ্যোৎপাদক হইতে পারে না। ধনী ব্যক্তি মাত্রেরই কৰ্ত্তব্য বানিজ্য এবং কৃষিকাৰ্য বিষয়ক বিবিধ উৎকৃষ্ট পন্থ উদ্ভাবন করিয়া নিজবায়ে সাধারণ জনগণকে তাহাতে লিপ্ত করেন । এই উপায় দ্বারা নিয়োগী এবং নিযুক্ত উভয়েরই লভ্য উৎপাদিত হইতে পারে। সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিগণ কিছুকাল ঈদৃশ কাৰ্য উৎসাহের সহিত করিলে, তখন আর প্রজাপুঞ্জের জন্য র্তাহাদিগের কষ্ট পাইতে হইবে না ; তাহারা আপনারাই অধিকতর ব্যগ্রতার সহিত বাণিজ্য এবং কৃষিকার্ষ্যে রত হইয়া, স্বকীয় সুখ এবং দেশের ধন বৃদ্ধি করিবে। অনেক ভূম্যধিকারী, বোধ হয়, দর্শন করিয়াছেন যে, সাধারণতঃ যে সকল প্রজারা নিঃস্ব

  • অর্থ শব্দের অর্থ মুদ্রা নহে। যে সকল শ্রমোৎপাদিত বস্তু মনুষ্যের অবশ্যক তাহাকেই অর্থ কহা যায়। -