পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:8 শিক্ষক। চতুর্থ পরিচ্ছেদ । আয় ব্যয় । সম্পত্তির বার্ষিক উৎপন্ন হইতে রাজস্ব প্রদান করিয়া যে টীকা অবশিষ্ট থাকে, তাহাকেই আয় বলা যায়। হস্তবুধের লিখিত অঙ্কের সহিত ইহার সম্বন্ধ নাই ; কারণ তৎসমস্ত বৎসরের মধ্যে প্রজার নিকট হইতে আদায় না হইতেও পারে—কেবল যে টাকা হস্তগত হইল তাছাকেই আয় বলিয়া নির্দেশ করিতে হইবে। আর ঈদৃশ আর হইতে বাৎসরিক ব্যয় সংকুলান করিয়া যাহা সঞ্চিত থাকিল তাহাকে লভ্য বলা যাইতে পারে। লর্ড বেকন, তাহার ব্যয় সম্বন্ধীয় প্রবন্ধে লিখিয়াছেন, “ ধন, ব্যয়ের জন্য ; এবং ব্যয়, সন্ত্রম ও সৎকার্যের নিমিত্ত। সুতরাং অসামান্ত ব্যয় আবশ্বকের উপযোগিতানুসারে সংকীর্ণ করিতে হুইবে ; কারণ স্বেচ্ছাধীন অপচয়, দেশ ও স্বৰ্গরাজ্যে সমভাবে বৰ্ত্তে। কিন্তু নিয়মিত ব্যর, সম্পত্তির আয়ানুসারে নির্বাহ করা কৰ্ত্তব্য ; এবং এইরূপ সতকতা অবলম্বন করিতে হুইবে যে, কর্মচারী দ্বারা প্রতারণ বা অপব্যয়ের সম্ভব না থাকে। * * * যদি কেহ তাহার লভোর হ্রাস বৃদ্ধি না করিয়া সমভাবে কালাতিপাত করিতে বাসনা করে, তবে তাছার আয়ের অৰ্দ্ধাংশ ব্যয় করা বিহিত, আর তদপেক্ষ ধনী হুইবার বাসন থাকিলে তৃতীয়াংশ ব্যয় করিবে। প্রবীণের পক্ষে, স্বীয় সম্পত্তি পর্যবেক্ষণ করা, নীচত্ব নহে। কেহ কেহ কেবল যে অমনোযোগিতা নিবন্ধন সম্পত্তির তত্ত্বাবধান করে না এমত নহে, তাহার আশঙ্কণ করে যে, যদি তাহারা উহা বিপন্ন দেখে, তবে বিষন্ন হইতে হইবে । কিন্তু পরীক্ষ) ব্যতীত ক্ষতস্থান প্রতীকার হইতে পারে না।” সম্পত্তির আয় ব্যয়ের তত্ত্বাবধান না করিলে পরিমাণ জ্ঞান থাকে ন, এবং এই অজ্ঞতা নিবন্ধন আয়াতিরিক্ত ব্যয় হইয়া ঋণী হইতে হয়। এটি নীচত্বও নছে ; কারণ পশ্চাৎ ঋণী হইয়া বিবিধ মনস্তাপ ও সাংসা