পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

és শিক্ষক । ইচ্ছা কর কেন ; তাহাতে সযত্ব হও কেন ? কেহ দলু দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তুমি তাহার প্রতিকার চেষ্টা কর কেন ? কাহার গৃহ অগ্নিসাৎ হইলে তুমি তাছার আহুকুল্য কর কেন ? এক জন প্ৰপীড়িত হইলে তুমি পীড়াদায়কের দমনে কৃতষত্ব হও কেন ? কেন না তোমার প্রতিও এবম্বিধ অত্যাচার হইতে পারে। সুতরাং পরস্পর পরম্পরের সাহায্যাভিলাষী হইলে ঈদৃশ আশঙ্কা থাকে না। এটি ঈশ্বরের অভিপ্রেত ; ইহার অন্যথাচরণ করিলে ঈশ্বরের সৃষ্টিনাশ হয়, সুতরাং পাপ হয়। পৃথিবীতে কত শত দীন, দুঃখী, দরিদ্র, স্থবির, অন্ধ, খঞ্জ, মুক ইত্যাদি অক্ষম লোক আছে। অন্নাভাবে তাহাদিগের শরীর জীর্ণ শীর্ণ হইতেছে। তোমার যদি তাদৃশ অবস্থা হইত, তবে তোমার মনের ভাব কিরূপ হইত ? তুমি কি সাহায্যাভিলাষী হইতে না ? জগদীশ্বরের প্রসাদে তোমার হস্তে বিপুল ঐশ্বর্য ন্যস্ত হইয়াছে ; এই সকল দীন, দুঃখীকে দান করা তোমার কি কৰ্ত্তব্য কাৰ্য নহে? অবস্থানুসারে স্বদেশের হিত সাধন ও মনুষ্যের উপকার করা অপেক্ষ ধন ব্যয়ের উৎকৃষ্টতর পন্থা আর নাই। উত্তেজনা ব্যতীত কার্য্যে প্রবৃত্তি হয় না ; তজ্জন্য জগদীশ্বর, কৰ্ত্তব্যজ্ঞান, যশোলিপা, আত্মপ্রীতি ইত্যাদি বৃত্তি পরম্পরা আমাদিগকে দিয়াছেন ; কিন্তু যশোলিপস অন্তান্ত বৃত্তি অতিক্রম করিয়া প্রবলতর হইলে, সচরাচর ধনের অপব্যয় হইয় থাকে ; তজ্জন্য দানাদি হিতসাধক কার্ষ্যে প্রবৃত্ত হইবার পূর্বে, তাহার কৰ্ত্তব্যত বিশেষ রূপে অনুধাবন করবে। যশঃ-অন্ধ হইলে অর্থাপব্যয় ও ধর্মহানি হয় । যুধিষ্ঠির বলিয়াছেন— “ আমি যত কাৰ্য্য করি ফলাকাঙক্ষীনই, সমৰ্পণ করি সব ঈশ্বরের ঠাই ; কৰ্ম্ম করি যেই জন ফলাকাঙক্ষী হয়, বণিকের মত সেই বাণিজ্য করয় ৷ ”