পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ চিত্র
১০৭

তাঁহার নাম শ্রী......। বয়স একটু বেশী। তিনি আমাকে অনেক টাকা দেন। আমি সেই বাবুকে একদিন ঠাট্টা করে’ বলেছিলাম, তুমি হাইকোর্টের উচ্চ আসনে প্রতিষ্টিত হ’বে। আমার সেই কথা ফলে গেছে। তিনি সত্যসত্যই হাইকোর্টে উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি খুসী হ’য়ে আমায় এই সব জিনিষ পত্র কিনে দিয়েছেন। আমার এই দামী আংটীটা তাঁহারই উপহার।”

 রাজবালার সহিত কথা কহিতে কহিতে সন্ধ্যা অতীত হইল। আমি চলিয়া আসিব বলিয়া উঠিয়াছি এমন সময় একজন লোক রাজবালার ঘরে প্রবেশ করিল। রাজবালা সেই লোকটীকে আদর অভ্যর্থনা করিয়া বসাইল। আমি বাহিরে আসিয়া অম্ফট স্বরে রাজবালাকে জিজ্ঞাসা করিলাম “ইনি কে?— এঁকে ত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের মত দেখাচ্ছে।” রাজবালা বলিল “ইনি আমার এক বাবু। খুব বড় অধ্যাপক। ইনি মহামহোপাধ্যায় উপাধিধারী পণ্ডিত। ইনি আজকাল আমায় নিয়ে খুব মজেছেন। তবে শুনেছি এঁর একটা দোষ আছে— নিত্য নূতন চাই। বেশ্যা মহলে ইনি সুপরিচিত। খোলার ঘরেই এঁর যাতয়াত বেশী। আমি যতদূর পারি ক’সে আদায় করে নিচ্ছি— কি জানি আবার কোন্‌দিন সরে পড়্‌বে।

 কিছুদিন পূর্ব্বে কালিদাসী হাড়কাটা গলির বাড়ী ছাড়িয়া রামবাগানে উঠিয়া গিয়াছে। সে একজন ধনবান ভাটিয়া সওদাগরের নজরে পড়িয়াছিল। একদিন কালীদাসীর নূতন বাড়ীতে যাইয়া দেখি তা’র অতুল ঐশ্বর্য্য হইয়াছে। তেতলায় দু’খানি বৃহৎ ঘর— একখানি বসবার, একখানি শোবার। ইলেক্‌ট্রীক্‌