পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

করিয়া থাকে, কিন্তু ভদ্র-নাম-ধারী লোকের একি প্রবৃত্তি! সেদিন রামবাগানের অবস্থাপন্ন পতিতা-নারী চুণী গলায় দড়ি দিয়া আত্মাহত্যা করিয়াছে; তাহার আত্মহত্যার কারণ সে এক চিঠিতে লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছিল―“পতিতার জীবনে আমার ধিক্কার জন্মিয়াছে।” সে অন্যান্য পতিতাকেও এই বৃত্তি পরিত্যাগ করিতে উপদেশ দিয়া গিয়াছে। যে পাপবৃত্তি করিতে প্রাণ আর চাহে না তাহাতে লিপ্ত থাকিতে যে কি কষ্ট, তাহা, কাহাকেও বুঝান যায় না। একদিন আমার উকিল দালালটি বলিলেন―দমদমায় ... বাবুর লাগানে একটা পার্টি দিব ঠিক করিয়াছি। আমি বলিলাম―দমদমায় আর কেন, যদি দিতেই হয় তবে বাড়ীতেই দাও। তিনি শুনিলেন না, বাগানেই ভাল লোক আসেন, ইহাই বুঝাইয়া বাগানে পাটির উদ্যোগ করিলেন। আমার নামে মুদ্রিত নিমন্ত্রণ পত্রও বিলি হইল, কিন্তু কাহারা যে নিমন্ত্রিত হইলেন সে খবর আমি নেই নাই। অনিচ্ছায় যে কাজ, তাহাতে তেমন উৎসাহ, উদ্দীপনা থাকে না। নির্দ্দিষ্ট দিনে আমার নিজের মোটরে দমদমায় গেলাম। মোটর চালাইলেন খোদ ব্যারিষ্টার সাহেব। আমি তাঁর বামদিকে বসিয়াছিলাম, উকিল বাবু ছিলেন আমদের পিছনে।

 দমদমায় যাইয়া দেখি সেখানে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ২০।২৫ জন লোক বসিয়া আছেন। কয়েকটি খদ্দর পরিহিত যুবক নানা আয়োজনে ব্যস্ত। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম এরা কারা! উকিল বাবু বলিলেন, ইনি পার্টির খরচ দিচ্ছেন ... বাবু, এরা তাঁহারই লোক। যিনি খরচ বহন করিতেছেন তাঁহারও খদ্দরের