পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

呜-- + হয়—আপনারা যে সকল মূৰ্ত্তির উপাসনা কলেম ঐগুলিই কি আপনাদের দেবতা ? ইহাদের কি কোন ক্ষমতা আছে ? যাহার কোন ক্ষমতা নাই যে নির্জীব জড়পদার্থ, তাহার আবার উপাসনা কিরূপে সম্ভব। শা- মূর্তিগুলি বাস্তবিক আমাদের উপাস্ত নহে। ঐগুলি আমাদের দেবতাদেব মূৰ্ত্তি । ছদ- আপনারা কি সেই দেবতাদিগকে কখনও দেখিয়াছেন ? বাস্তবিক তাহাদেব মূৰ্ত্তি কি অবিকল এই মূৰ্ত্তিগুলির অম্বরূপ ? শ আমলা দেবতাদিগকে কখনও দেখি নাই । তাহাদের মুক্তি এই মূৰ্ত্তিগুলির অনুরূপ কি না তাহাও জানি না। তবে তাহাদেল কাৰ্য্য বা প্রকৃতি অনুযায়ী মূৰ্ত্তি তৈয়ার কবা হইয়া থাকে । ছদ-মহাবাজ, তবেই দেখা যাইতেছে, সকলের উপাস্তই আদৃত। কিন্তু আপনাবা এই অদৃশু উপাস্তকে দৃষ্টির মধ্যে আনিবার চেষ্টা করিয়া অসীমকে সীমার ভিতরে আনিয়াছেন। উপরন্তু এই সমস্ত কল্পিত মূৰ্ত্তি ঐ সকল দেবতার मूखि হইতে পাবে না , উহা আপনাদের মনের খেয়াল মাত্র। সুতরাং আপনাদেব উপাসনা-পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভ্রান্তিমূলক। স্বতরাং এই ভ্রান্তি পরিহার করুন। এক আয়ার উপাসনা করুন, তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, তিনি অনাদি, অনন্ত ঃ তিনি কাহালও স্বল্প নহেন বরং সকলের স্বষ্টিকৰ্ত্তা। তিনি মৃতু্যর অধীন মহেন অথচ সকলের মৃত্যুব বিদানকৰ্ত্তা । তিনি মহাবিচারের মালেক । তাহার ন্যায়বিচারে পুণ্যবান বেহেস্তে ও পাপী দোজখে গমন করিবে । শা-ওহে হুদ, যদি জন্ম মৃত্যুর অধিকারী তাহাকে ঈশ্বল বলা যায় তবে আমিই ঈশ্বর আমার আদেশে চোখের পলকে পক্ষ প্রাণীর জীবন নিঃশেষ হইতে পাবে। আবার ইচ্ছা করিলেই তাহাজের প্রাণ রক্ষা করিতে পারি। আমিই সকলের জীবিকার উপায় করিয়া शिहै ; डेश नटे रुद्रिrङ *ाति। श्रामि ७थमहे দোজখে ও বেহস্ত তৈয়ার করিয়া মহাবিচার


F. 2–87 কোল্ল-অাল আরম্ভ করিতে পারি ; এবং আমাপ অতুগতগণকে বেহস্তে এবং অবাধ্যগণকে দোজখে নিক্ষেপ করিতে পালি ।” এই বলিয়া শাদা রাজ্যের উজির, নাজির সকলকে ডাকিয়া বলিলেন—“আজ হইতে রাজ্যের মধ্যে ঘোষণা করিয়া দাও, আমি সকলের ঈশ্বর। সকলে এখন হইতে আমারই উপাসনা করিবে ।” অতঃপর রাজ্যের কারিগরদিগকে বলিলেন দেশের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মণিমুক্তার স্বাবা আমাকে এমন একটা সুন্দর প্রাসাদ তৈয়ার কলিয়া দেও যাহা হুদের আল্লার বেহস্ত অপেক্ষা বহুগুণে উৎকৃষ্ট হয়।” আদেশমাত্র কার্ধ্য আরম্ভ হইল। যেখানে যত মণিমাণিক্য হীৰা, জওহরৎ পাওয়া গেল, সংগ্ৰহ করিয়া অনিন্দ্য সুন্দর একটা প্রাসাদ তৈয়ারী হইল। নিদিষ্ট দিন রাজা পাত্রমিত্র সমভিব্যাহারে মহাড়ম্বরে সাধের বেহস্ত দেখিতে যাইতেছেন। বেহস্তের দরজায় উপস্থিত হইতে না হইতেই হঠাৎ ভীষণ ভূমিকম্প আরম্ভ হইল। কম্পনেবাবেগ এত ভীষণ হইল যে, দেখিতে দেখিতে তাহার সাধের বেহস্ত মহাশব্দে মৃত্তিকাগর্ভে নিমজ্জিত হইয়া গেল । উজির নাজির, লোক-লঙ্কর সহ শাদাদ মুহুৰ্ত্ত মধ্যে ভূতলগর্ভে জীবন্ত সমাধি লাভ করিল। এ সম্বন্ধে এইরূপ একটা গল্প আছে যে—শাদাদ যখন বেহস্তের দবাজার কাছে আসিলেন, তখন দেখিতে পাইলেন যে দরজার উপর একজন অচেনা লোক খাড়া হইয়া আছে। তিনি বিবক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কে তুমি ? এই বেহস্তের দরজার উপর দাড়াইয়া আছ ? তোমার আম্পন্ধা ত বড় কম নয় তোমাকে এখনই শূলে চড়াইব । যিনি দাড়াইয়াছিলেন, তিনি আর কেহই নহেন, স্বয়ং—হজবত আজরাইল আলায়হেস্ সালাম।-তিনি শাদাদেব কথা শুনিয়া বলিলেন আচ্ছা, শূলে চডাইও । তবে তোমার প্রাণটা একবার নিয়া নেই । শাদাদের হৃদয় শুয়ে কঁাপিল । তবে কি সত্য সত্যই আমার জান কবজ করিতে আসিয়াছে নাকি ?--একি আজরাইল । আচ্ছা, প্রাণ নিতে হয় নিও, শুধু একটু বিলম্ব কর, আমার বেহেস্ত একটিবার দেখিয়া নেই! ー* &bvs ""


R

i