পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f-f=2-ser=<èr পাওয়া যায। পুষ্পজাত রঞ্জন উপকরণ সমূহের মধ্যে কুহুম সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ এবং অতি প্রাচীনকাল হইতেই রঞ্জন-শিল্পে বিশেষ আদৃত হইয়া আসিতেছে। পরীক্ষায় জানা গিয়াছে যে মিশল দেশে প্রাচীন শবাধাব সমূহে সংলক্ষিত শবপবিচি ত বক্স অনেক স্থলে কুশুম ফুল দ্বাব। রঞ্জিত। কোনও কোনও শবাধারে কুসুম বৃক্ষাংশ ও কুসুম বীজ পর্যাস্ত পাওযা গিয়াছে । কুসুম ফুলের উৎপত্তি স্থান কুসুম লীজ তৈল ভেদক ওষধিরূপে পহু সংস্ক , গ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছে এপং প্রাচীনকালে fমশব ও আফ্রিকাতেও উক্তরূপে ব্যবহৃত হইত। কুমুমেব আদিস্থান নিদ্ধালণ কলা কঠিন। এবেসিনিয়া দেশে একপ্রকার বহু কুসুম রক্ষ দৃষ্ট হয। কাছাপও কাহারও মতে এবেসিনিযাই কুসুমেব আদি স্থান । পক্ষাস্তরে অপপ একদলের মতে ভাৰতবৰ্ষই কুম্ভমেল আদি জন্মভূমি কাৰণ এদেশেও একপ্রকাব বন্ত কুমুম বৃক্ষ দেখিতে পাওযা যায। উক্ত রূপ মতদ্বৈপেল মধ্যে ডিকেন্ডিলে ( De Condolle ) এক নূতন সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন : র্তাহাব মতে যখন মিশর ও ভাবতলৰ্য উভয দেশেই বহু কুসুম দুষ্ট হয, অথচ উভযদেশেই যে প্রাচীনকাল হইতেই কুসুমের চাষ হইতেছে, সে বিষযে কোন সন্দেহ নাই এইরূপ স্থলে মিশব ও ভারতবষের মধ্যৰ দ্বী আরবদেশই পুল সম্ভবত: কুসুমের আদি জন্মস্থান। ডিকে নডলে নিজ মত সমর্থনের জন্য আবু আলিফ নামক জনৈক আলব লেখকের নাম উল্লেখ করিয়াছেন। আবু আলিফার গ্রন্থে আবব দেশেও যে প্রাচীনকালে কুম্ভমেল চাষ হইত, তাছার প্রমাণ এবং দেশীয় এক প্রকাব বন্ত কুহুম সম্বন্ধে সংবাদ পাওযা যায়। তখন এদেশে হইতেই জাপান ও হংকং প্রভূতি স্থানে কুসুম ফুল বস্তানি হুইযাছে। এক্ষণে আর ইউপোপে কুসুম ফুল প্রেরিত বা ব্যবহৃত হয় না । কৃত্রিম রং সমূহের প্রতিযোগিতা নিবন্ধন উছার মূল্যও বিগত ২৫/৩০ বৎসরের মধ্যে পূৰ্ব্ব মূল্যেৰ এক পঞ্চমাংেশ পরিণত হইযাছে। বর্তমান সমযে পোস্বাই নগরে প্রতি টাকায় ১ সের হইতে সোয। সের পর্য্যস্ত কুসুম ফুলের পিষ্টক বা চাপট কিনিতে পাওয়া যায়। ঘস্থাদি রং করিবার জন্ত কুলুম ফুলের ব্যবহাব পূৰ্ব্বাপেক্ষা কমিয়া থাকিলে ও দেশ হইতে উছ সম্পূর্ণ লুপ্ত হয় নাই। ব্ৰহ্মদেশে ও ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্রই কুসুম ফুল আল্লাধিক পবিমাণে রঞ্জন-শিল্পে এখনও ব্যবহৃত হইতেছে। কুসুম ফুলের ব্যবসায় পূৰ্ব্বে এদেশে প্রচুব পরিমাণে কুমুমেব চাষ হইত। পূর্বাপেক্ষ উছা কমিযা থাকিলেও বঙ্গদেশেব কোন ও কোনও স্থানে, বিশেষত: ঢাকা জেলায়, আসামেব স্তবমা-উপত্যকায, মণিপুরে, মধ্যপ্রদেশে, লাযপুল ও চিন্দোয়াবা জেলাম, উত্তল পশ্চিমাঞ্চলে মিলট, পঞ্চাবে প্রাস সৰ্ব্বত্রই বিশেষতঃ অঙ্গল। এবং হুগিয পুর জেল{য, বেড়াবেৰ সৰ্ব্বত্রই বোম্বাই অঞ্চলে কণtট এবং গুজ্জলে ও মান্দ্রীজ এবং বঙ্গদেশেৰ দুই একস্থানে বর্তমান সমযে ও কুমুমেব চাষ হইয়া পাকে। উ ওর ভালত এবং বঙ্গদেশে ফুলের জন্যই কুসুমেল চাষ হইযা থাকে। কিন্তু দক্ষিণাত্যে উক্ত কুলেব মোটেই আদর নেই, পক্ষাস্তবে তৈল বাজেব জন্যই উই চাল হয । পূৰ্ব্বে ঢাকা জেলা কুসুমকুলের জন্যই বিখ্যাত ছিল। এলং বুড়ীগঙ্গা ও পলেশ্বৰী নদীল উপকুলবী ভূখণ্ডে প্রচুর পরিমাণ কুসুম ফুল উৎপন্ন ঠত। পাটেলগোটা এবং বিলাসপুব উচাব কেন্দ্রস্থান ছিল। ভারতে অন্যাগ স্থানে উৎপন্ন কুসুম ফুল অপেক্ষ ঢাকা জেলায উৎপন্ন ফুল অনেক অংশে শ্ৰেষ্ঠ বলিয়া বিবেচিত হইত। বোম্বাই অঞ্চলে পাগড়ী রং করার জন্ম ঢাক1ব কু মুম ফুল বিশেষ আদৃত হইত এবং ইউরোপেও সমধিক কাটুতি ছিল সমগ্র ভারত হইতে বিদেশে প্রেরিত কুসুম ফুলের দুই তৃতীযাংশ ঢাকা জেলা হইতে সংগ্ৰহ হইত। বৰ্ত্তমান সমযে ঢাকা জেলায় কুসুম ফুলেব চাষ বহু পবিমাণে কমিথা থাকিলেও সম্পূর্ণ উঠিলা যায় নাই ; এবং এখনও ঢাকা জেলায যতটা কুসুমের চলি হল, অন্স কোথাও ততটা হয় না। কুসুম বৃক্ষের চাষ-প্রণালী পাতলা বালুকার আদ্রভূমি উত্তমরূপে কৰ্ষণ করিয়া কাfত্তক হইতে অগ্রহায়ণের মধ্যে বীজ כאס\כלי