পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=ব্যাক চিলি=া ---- কাৰ্য্যতঃ এ রকম হওয়া সম্ভবপল নহে, কাবণ খাদ্যের অভাবে মারামালি কাটাকাটিতে ইছাদেল অনেকেই বিনষ্ট হয়। ইহা ভিন্ন অন্যান্য প্রতিকূল অবস্থাও অাছে অনেক । এই প্রকার অসম্ভব রকম দ্রুত বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা ছাড়াও জীবন-সংগ্রামে জয়ী হইলাব সুবিধা ইহাদেব আরও অনেক আছে । প্রবল উত্তাপ, ছিম, প্রভৃতি সহজে ইহাদিগকে কাবু কবিতে পাবে না। ইহার ৬০০-৬৫° ডিগ্রি উত্তাপ এমন কি কেহ কেহ ১০০০ ডিগ্রি উত্তাপ সহ্য করিযাও বঁচিমা থাকিতে পারে। তেজস্কল বীজাণুনাশক ঔষধও কোন কোন অবস্থায় ইহাদের কিছুই কলিতে পারে না। এমন স্থান নাই যেখানে ইহ দেল কাহাকে না কাহাকেও দেখা না যায় ৩ সে পৰ্ব্বতেব চুড়াতেই হোক, অন্ধকার গঙ্গালেই হোক, জলেব মধ্যে বা মাটীল নীচেষ্ট হোক । ইছাপা মাতুল, জীবজন্তু, গাছপাল। সে মৃতই হোক, কি জীপ গুই চোক সকলেব শলালেই সুবিধা পাইলেই বাসা বাপে, আলাল বাহিবে জল, লাতাস, মাটি সপত্রই ছ৮দেল দেখ পাওযা যায । চহাদেব দেই মাত্র একটি কোষ দ্বাবা গঠিত । প্রত্যেকটি কোষ একটী কোষ প্রাচীর দাল আবুত । প্রাচীবের মধ্যে থাকে একটু প্রাণবঙ্গ, ও কযেকটি দানা। প্রাণকেন্দ্র ( nucleus ) বলিযা ইহাদেব কিছু নাই। ব্যাক্টরিয়া গোষ্ঠীর কতকগুলি সচল, আর কতকগুলি অচল । যাহার। সচল তাহদেব শরীরের নানাস্থানে শুTয়াল মত একপ্রকাব অঙ্গ ( cilia ) থাকে। এই অঙ্গের সাহায্যেই ইহাবা চলাফেরা করে। ইহাদের দেষ্ট সাধারণত: এক কোল হইলেও কেহ কেহ আবার কয়েকটা কোষ মিলিযা *za c{#is ( filamentous ) হইতে পারে। ইহারা সকলেই একই প্রকার অবস্থায় বাস করিতে পারে না । ইফাদের কেহ কেহ বায়ু ভিন্ন জীবনধারণ করিতে পারে না (aerobio) , কিন্তু কতকগুলি আবার বায়ুর সংস্পর্শে আসিলেই মরিয়া যায় (anaerobic), সুতরাং তাহারা বাচিযা থাকিবার শক্তি অদ্য প্রকারে আহরণ করে। আকৃতির পার্থক্য হিসাবে ব্যাকটিরিয়াকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয় যথা— --- ox Q. Gr ১। খাহীদের আকৃতি গোলাকাল (spherical) তাহাদিগকে ককাস (coccus) বলে। যেমন সট্যাফাইলো ককাস, এসটেপ টোককাস। ২ । যাহাদের আকৃতি লম্বা (oblong or form of short rods) ototfotto ব্যাকটিfa¥w *i*rtffa*t*i (hacterium orbaciilus) বলে, যেমন টাইফযেড ব্যাসিলি, টিটেনস ব্যাসিলি, ডিপথেলিয়া ব্যাসিলি, কলেবা ব্যাসিলি, প্রভৃতি। ৩ । যাহাদেব আকৃতি কমা’ব (2omma) মত কিছু বক্র (curved) তাহাদিগকে স্পিরিলম (spirilluin) "to জালনযাপনেব ধারা অমুসারে ব্যাকটিরিযাকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায— মৃতজীবী ব্যাকটিরিয়া-ইছাপা মৃতদেহ, তা প্রাণীবই হোক কিংবা উদ্ভিদেলই চোক, পচাইয়া নষ্ট কলিয। ফেলে। ইহাদেব আক্রমণে প্রোদিন জগতায় পদার্থ পচিম আ ত্যস্ত দুৰ্গন্ধ লাহির হয় । ফল, ফুল, তলি-তরকারী, মাছ, মাংস, দুধ প্রভূত কাহাকেও ইহাব লেহাই দেম না। সুবিধা পাইলে ইছাদের সকলকেই পচাইযা মানুষের প্রভূত অনিষ্ট সাধন করে। শুধু টাকা পযসাব ক্ষলিব দিক দিয়াই নহে পচা মাছ মাংস প্রভূতি খাইয। সময় সময প্রাণাস্ত কল অসুখ কপাল দুষ্টান্তও বিবল নহে । রোগোৎপাদক ব্যাকটিরিয়া—ইহার জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণাকে আক্রমণ কলে । ইহাদের আক্রমণে হয শরীরের আক্রান্ত অংশ পচিয়া নষ্ট হয এবং আক্রমণ বোধ কবিতে না পরিলে পচশ ক্রমে সমস্ত শরীলে ল্যাপ্ত হয, আর না হয় শরীরে লাসা বঁপিয এক প্রকার বিষ (toxin) নির্গত কবিয়া ইহাব সমস্ত শর্লালকে বিষাক্ত কবিযা তোলে। আবার কেহ কেহ এক সঙ্গে দুই প্রকাবেই জীবকে আক্রমণ কবে। দুষ্ট ব্রণ, ধহুষ্টঙ্কার, গলাহারি, যক্ষ্মা, টাইফয়েড়, কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি বেগ ইহাদের আক্রমণেই শরীরে প্রকাশ পায়। প্রথম হইতে সাবধান না হইলে ইহাদেব প্রকোপ সাংঘাতিক ও সংক্রামক श्ब्रां छे८ठं । লাইট্রোজেন ব্যাকটিরিয়া—ইহারা মাটির মধ্যে বাস করে এবং মানুষের অতি উপকারী