পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=िोथ्s-प्झठान्ह्वप्टो --- তাহা ও বোধ হয় সম্ভব নতে, বিশেষত: যদি ভাঙ্গার যুক্তির সহিত, তিনি কি বলিতে চাঙ্গিতে ছেন তাহার সহিত, আমাদেব পরিচয় না থাকে । তবে রামমোহন যে শুধু ধৰ্ম্মকথার আলোচনা করিয়া গিয়াছেন তাত নহে, আমলা সাপ বণত যে সব আলাপ করি সে সকলের সম্বন্ধেও কিছু কিছু লিপিয়াছেন । এক দিকে তিনি মিথা-কথন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন, অন্যদিকে তাবার মকর মৎস্য, চুম্বক, প্রতিধ্বনি, বেলুন প্রভূতির কথা বলিতে গিয়া যথেষ্ট কৌতুহল দেগই যাছেন। র্যাহারা বাঙ্গালী ভাষায বিজ্ঞান চর্চ-কলিয়াছেন রামমোহন তাহাদেব অগ্রণী, এ-কথা স্বীকার করিতেই হইবে। বেলুনের প্রসঙ্গে তিনি সেকালে যে ভবিষ্যৎদ্ব;ণী বরিয়া গিযাড়েন তাহা অাজ সর্থক হইতে চলিয়াছে । “যদি মাপন আপন ইচ্ছানুসাবে এবং বায়ুব প্রতিকুলে বেলুন চালাহবার কোন উপায় কখন মনুল্যের পায়, তবে তাeার দ্বারা অশেষ উপকার হইতে পারে। ইদানীং কেবল বিহার ও বিস্কাবিষয়ক পৰীক্ষা মাত্র তাeাব কার্য্য । কতক বৎসর ফ্রান্সীয়ের ও জাম্মানীদের মধ্যে এক যুদ্ধ কালে ফ্রান্সীয় সেনাপতি বেলুনের দ্বাব। আকাশে উঠিয়া বিপক্ষ সৈন্যের গমনাগমন বুহ্যস্ত উপর হইতে লিখিয়া পাঠাইল । বিপক্ষেরা তাইকে মারিতে গুলি উদ্ধে ক্ষেপণ করিল ; কিন্তু সে এতদুরে ছিল যে, গুলি ত তপূরে পোছিতে পারিল না। কল্পিত স্থান পর্যস্ত পৌছিলে সে দর্শন কাণী নিরুদ্বেগ ও নিভাবনায় আকাশের শাস্তিরাজ্য হইতে রণভূমিতে পরস্পর নাশক দুই সৈন্য দেখিল ।” বাস্তবিক, রামমোহন যে সব কথা লিখিয়া গিয়াছেন আজও সে সব পুরানো হইয়া যায় নাই – আর তাহার ভাষার বাধছাদ একটু আধটু বদলাইয়া লইলে একে হই যা পড়ে। প্রশ্নের উত্তরে বারে অtঞ্জ ক1লকার মত "উপাসনা কাহাকে বলে ?” বামমোহন লিখিয়াছিলেন,—

  • এই প্রত্যক্ষ দৃশ্যমান যে জগৎ ইহার কারণ ও নিৰ্ব্বাহ কৰ্ত্ত পরমেশ্বর হন । শাস্ত্রত ও যুক্তিত এইরূপ যে চিন্তন তাহ পরমেশ্বরের উপাসনা হয় ।”

এখনকার ভালtয লিপিলে ইহা কতকটা এই রূপ দাড়াই বে.— “এই প্রত্যক্ষ দৃগুমান যে জগৎ, ইহার কাবণ ও শিপাহকত্তা পরমেশ্বর । শাস্তু ৪ যুক্তির দিক দিয়া এইরূপ চিন্তা করবে নাম পৰমেশ্বরের উপাসনা ।” কোনও শ্রেষ্ঠ পুরুষের জন্ম বা মৃত্যৰ এক শ ত বৎসব অতীত হইয়া গেলে তাহাকে মনে রাfপলাব জন্য অামাদেব দেশে উৎসব হইয় থাকে। এরূপ উৎসবের নাম দেওয়া হইঘাছে শতবার্ষিকী বা স্মৃতি-বার্ষিকী। সাধারণের দিক হইতে সব প্রথম রামমোঙ্গনের সম্বন্ধে এইরূপ আনুষ্ঠান হয় । তিনি যে গামাদের দেশের একজন কত বড় লোক ছিলেন, ইহা হইতে আমরা তাহ। খানিকট অনুভব করিতে পারি। কিন্তু তাহাব সাঙ্গিতা রচনা, বিশেষ কবিয়া গদ্য রচনার কথা, আমরা এই প্রসঙ্গে মনে রাখিব, তাহা তুলিব না,—কারণ আমরা বর্তমান কালে যখন বাঙ্গালা গদ্য লিখি তখন তাহাব ভাষা রামমোহনের অার রূ কৰ্ম্মের অন্যতম ফল । রামমোহনের সহিত বাঙ্গালীর এই যোগ বাঙ্গালী কিছুতেই আজ ভুলিতে পারে না। রামমোহনের সময় অtর একজন বাঙ্গালী গদ্য রচনা করিয়া গিয়াছিলেন, তাহার কথা ও বাঙ্গালীর সাহিত্যে উল্লেখ করিতে হইবে ; তিনি হইলেন পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার । কলিকাতায় ১৮ • • খৃষ্টাব্দে "שר צפי