পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-------- আশ্চর্যাজনক গুণের অতীব স্থখ্যাতি করিতেন। এ বিষয়ে পুরাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত ফাগুসন সাহেব যে কথা বলিয়াছেন, তাহা ৰাস্তলিকই চিত্তাকর্ষক। তিনি বলেন,— “এই লৌহস্তম্ভটি কতদিনের পুরাতন, তাহ। অদ্যাবধি নিভুলক্কপে নির্ণীত হয় নাই। ঠহার উপর খোদাই করা কিছু লেখা আছে, কিন্ম তাহার তারিখ নাই।" ইহার বর্ণমালার গঠন হইতে প্রিন্সেস ইহাকে তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীর বলিয়া অনুমান করেন। ভাওজী কিন্তু সেই কথার উপর নির্ভর করিয়া ইহাকে পঞ্চম শতাব্দীর শেষের বা ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম ংশের বলেন । ঐতিহাসিক পণ্ডিতেরা লৌহস্তম্ভের গায়ের গোদিত লিপি পড়িয়া ছেন । এই লিপি পড়িয়া জানিতে পারা গিয়াছে যে, ইত। রাজা চআরব-মার সময় খোদিত হইয়াছিল। চন্দ্রবন্মা মহারাজ চক্রবর্তী সমুদ্রগুপ্তের সমসাময়িক ৩৪৭ খৃষ্ট অব্দে ছিলেন বলিয়। নিঃসন্দেহে স্থিরীকৃত হইয়াছে। সেই হিসাবে এই স্তস্তুটির বয়স নূ্যনপক্ষেও প্রায় *: সতের শ বৎসরেরও দিল্লীর লৌহস্তম্ভ প্রাচীন। আমাদের বিশ্বাসও এইরূপ –श्श्। श्रृष्टीग्न ड्रडोग्न ७ झङ्घर्थ -डाकोोत्र भएमा নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। হিন্দুগণ সেই কত বৎসর আগে এত বড় - - - - ब्काङ्कब्fञ्•छ३ বিদ্যালয়ের বক্তৃতায় ভারতবর্ষের ইস্পাতের ՏՀ- Ց একটি বৃহৎ লৌহস্তম্ভ প্রস্তুত করিতে পারিয়াছিলেন, ইহা বস্তুতঃই বিস্ময়ের বিয়য় । ইউরোপের লোকেরা সেকালে এত বড় লৌহস্তম্ভ প্রস্তুত করিতে সমর্থ হয় নাই । হিন্দুদের এই বিরাট লৌহস্তম্ভটি বাস্তবিকই আশ্চর্য্য কীৰ্ত্তি । ইংল্যাণ্ডের ধাতু সম্বন্ধীয় বিশিষ্ট বিদ্যাবিং রবার্ট হ্যাডফিল্ড এই লৌহস্তম্ভটি সম্বন্ধে অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন যে,—“এই আশ্চর্য্যজনক লৌহস্তস্তটির এই মাত্র ব্যাখ্যা হইতে পারে যে, ইহা বোধ হয় ছোট ছোট অংশে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। পরে জোড়া দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু জোড়ের কোনও চিহ্নই গাত্রে বিদ্যমান নাই ।” এই লৌহস্তস্তুটি লিশ্লেষণ করিয়া নিম্নলিখিত রূপ ফল পাওয়া গিয়াছে । অঙ্গার • •৮১, সিলিকন • ০৪৬ , গন্ধক • • •৬ , ফসফোরাস • ১১৪, ম্যাঙ্গানিস • , লৌঙ্গ ১৯৭১%–আপেক্ষিক গুরুত্ব ৭ ৮১ ৷ - আশ্চর্যোর বিষয় এই যে, শত শত বৎসরের রৌদ্র-বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্চার মধ্যে থাকিয়াও দিল্লীর এই লৌহস্তস্তুটির গায়ে কোনও মরিচ পড়ে নাই । কণারকের বিরাট লৌহ “কড়িকাঠগুলি,” সোমনাথের অলঙ্কারযুক্ত কবাটগুলি ও নরবড়ের (Narwara) ২৪ ফুট দীর্ঘ লেীগ কামানটি ধাতুবিদ্যায় হিন্দুদের পারদর্শিতার চমৎকার প্রমাণ । আধুনিক বৈছাতক যন্ত্রপাতি ও ফার্ণেসের (Furnace) অর্থাৎ তন্দুরের সাহায্যে যাহা সম্ভব, তাহা তখনকার কালে শিল্পীরা যে কি ভাবে সম্পাদন করিয়াছিলেন, তাহ। ভাবিবার বিষয়। হায়দ্রাবাদ ষ্টেটের অন্তগত গুলবর্গার লৌহনিৰ্ম্মিত বিরাট কামানটিও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ছবিতে ঠিক বোঝা না গেলেও এটি যে একটি বিরাট ব্যাপার, তা' ---


f