পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पछान्द्रङडौ=र्थ-८=ो६क्र डौ=छिाञ्प শাক্যবংশে বুদ্ধদেবের জন্ম হয়। তাছার পিতার নাম ছিল শুদ্ধোদন। শুদ্ধোদন শাক্যজাতির একজন নায়ক ছিলেন। তাহার মতার নাম মারাদেলী । বুদ্ধদেব কপিলবস্তুর শাক্যদিগের মধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া ভারতবর্ষের ইতিহাসে তাঙ্কাদের প্রাধান্ত খুব বেশী । সেকালের কপিল বস্তু মস্ত প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। ইছা একটি বৃহৎ নগর এবং এখানে অনেক বড় বড় বাগান এবং বাজার ছিল । ঐস্থানে অনেক অশ্ব, হস্তী এবং রথ পাওয়া যাহত । লুদ্ধগন্না—এই স্থানে বুদ্ধ বুদ্ধত্ব । সম্যকসম্বন্ধ ) লাভ করিয়াছিলেন বলিয়। ইহা বৌদ্ধদের মহাতীর্থ। গয়া সহর হইতে ছয় মাইল দরে বুদ্ধগয়া অবস্থিত। বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষ হুটে নৈরঞ্জন নদীর তীরে যখন তিনি ধানে নিমগ্ন ছিলেন, "মার" তথন বুদ্ধগয়ার মন্দির ও বোধিবৃক্ষ নানা প্রকারে তাহীর তপস্যা ভঙ্গ করিবার জন্ত চেষ্টা করে। কিন্তু ‘মার” শত প্রলোভনেও বুদ্ধের তপস্তা ভঙ্গ করিতে পারে নাই। এইভাবে এখানে বুদ্ধ সম্যকসম্বন্ধ হওয়াতেই বুদ্ধগয়া প্রসিদ্ধ পুণ্য তীর্থে পরিণত হইয়াছে। মহারাজ অশোক এই স্থানে এক বৌদ্ধ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন। এই মন্দির বহুবার ভাঙ্গিয়া গিয়াছে এবং নুতন করিয়া সংস্কৃত হইয়াছে।


95ను বৰ্ত্তমান সময়ে উছা যে-ভাবে গঠিত হইয়াছে-তাহার সহিত য়ুয়াং চুয়াং এর বর্ণনা হুবহু মিলিয়া যায়। যে বোধিবৃক্ষের নীচে বসিয়া বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছিলেন, এখন সেই বোধিবৃক্ষ আর নাই। মন্দিরের পিছনে তাহার প্রতিনিধিস্বরূপ এক অশ্বখবৃক্ষ তৃতীয় খৃষ্টাব্দে রোপিত হয় ; এখনও তাহাই আছে। প্রবাদ এই যে, মূল বুক্ষের এক শাখা মহেন্দ্রের ভগিনী সহনমিত্র সিংহলে লইয়া যান। সেখানে তাহা প্রকাও অশ্বথে পরিণত হইয়াছে। এখনও প্রসিদ্ধ বৌদ্ধমন্দিরে প্রতিদিন বুদ্ধের পুজা হয়। পৃথিবীর অনেক জাতির লোক এই পবিত্র স্থানটি দেখিতে আসেন। সনাৱলtথ-বৃদ্ধদেব সম্যকসম্বন্ধ এই পদ সারনাথের ধামেক স্থপ প্রাপ্তির পর কোথায় যাইয়। প্রথম ধৰ্ম্মোপদেশ দান করিবেন, তাহাই চিন্তা করিতে লাগিলেন। তখন তাহার বুদ্ধত্ব প্রাপ্তির পূৰ্ব্বেকার, পাঁচজন শিষ্যের কথা মনে পড়িল। বুদ্ধ ধানযোগে জানিতে পারিলেন যে, এক্ষণে তাহারা মৃগদাব ( সারনাথ ) নামক স্থানে আছেন। ইহা জানিয়া তিনি সারনাথে আসিয়া আপনার ধৰ্ম্মোপদেশ প্রথমে ঐ পাঁচ জনকে প্রদান করেন।