পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে চলিতে গেলে দেখা যায়, যে সব লোক পথ দিয়া যাইতেছে, তাহাদের মধ্যে কেহ লম্বা এবং কেহ বেটে। এরূপ কেন হয় ? তুমি কি ইচ্ছা করিলেই লম্বা হইতে পার ? মানুষের বাড়িবার একটা বয়স আছে। সে বয়সে না বাড়িলে মামুষের আর লম্বা হইবার সম্ভাবনা থাকে না। গাছ এবং অন্তান্ত উদ্ভিদের পক্ষে এ যুক্তি খাটে না । তাহারা বরাবরই বাড়িতে থাকে। কিন্তু মানুষের বাড়ন্ত বয়স চলিয়া গেলে আর সে দীর্ঘ বা লম্বা হইতে পারে না । লম্বা হওয়ার সঙ্গে পায়ের দীর্ঘতার হইতেছে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ। প্রত্যেক মামুষেরই,-কি টেঙ্গা, কি বেটে কাহারও মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্যের বড় বেশী তফাৎ থাকে না। কিন্তু পায়ের তফাৎ থাকে অনেক বেশী। মানুষের বাড়িবার বয়লের সময় পায়ের হাড়ের নীচের দিকে যে কোষ আছে, তাহার বৃদ্ধির সঙ্গে দীর্ঘ হুইবার সম্বন্ধ খুব বেশী। আমরা যখন আমাদের বাড়িবার বয়সের শেষ সীমায় অলিয়া পড়ি, তখন পায়ের ছাড়ের নীচের দিকের এই কোষের কোনও অস্তিত্ব থাকে না। এই কোষগুলির বিস্তারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ হইবার সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠতর। আমরা আমাদের মাতাপিতার নিকট হইতেও উত্তরাধিকারস্থত্রে লম্বা বা বেটে হইয়া থাকি। যাহাঁদের পিতামাতা দীর্ঘকার, তাহারা প্রায়ই খৰ্ব্বকার হয় না। যাহারা বেটে, তাহার কিরূপে দীর্ঘকার হক্টতে পারে ? ইহার প্রধান লক্ষ্য হইবে, স্বাস্থালীন হওয়া । মানুষ ১২ বৎসর হইতে ১৮ বৎসর পর্যান্ত বাড়িয়া থাকে। এই সময়ে যাহারা পায়ের বায়াম স্বরূপ বেশী রকমের ইঁাটাইটি করিলে, তাহদের শরীরই দীর্ঘ হইবে। কেনন, পায়ের ব্যবহার বেশ করিলে । হাড়ের নীচের সেই কোষগুলিও তাঁহাদের খাস্তস্বরূপ রক্ত-কণিকা বেশী পাইবে এবং পায়ের হাড়ের দৈর্ঘ্য বিস্তারের সহায়ক হইবে। যাহারা পায়ের ব্যবহার বেশী হয় এইরূপ খেলা করে,—যেমন দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি, স্কিপিং (skipping) ইত্যাদি, তাহারাই সাধারণত: লম্বা হয়। কেননা এইরূপ ব্যয়াম দ্বারা পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চালন অধিক হয়। একটা কথা মনে রাখিতে হুইবে-লম্বা লোকেরাই যে বুদ্ধিমান, চতুর, উৎসাহী এবং কৰ্ম্মঠ হয়, তাহা কিন্তু একেবারেই সত্য নচে । শরীরের দৈর্ঘ্যের সহিত n, বুদ্ধি ও জ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নাই।