পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=िश्वe-झठान्छाप्डी এখানে অসিত, সে কথা জানিতে পারি, কিন্তু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই তাহাতে পাওয়া যায় না । কাশী আর্য্য-শিক্ষা ও সভ্যতার দিক দিয়া তক্ষশিলার স্যায় প্রাচীন নহে । আর্ষ্যেরা যখন প্রথম ভারতবর্ষে আসেন, তখন উrstৱা পঞ্চাল প্রদেশেই উপনিবেশ স্থাপন করেন। তাeারা তখন পঞ্চনদবিধৌত দেশের গুণ-গানেই নিরত ছিলেন । তখন র্তাহাদের শিক্ষা ও সভ্যত। সপ্তসিন্ধু ( পঞ্জাব) এবং কুরু-পাঞ্চাল দেশেই বিস্তার লাভ করে। তাহার। বিদেহ, কাশী, অঙ্গ, বঙ্গ প্রভৃতি দেশকে ঘুণীর চক্ষে-দেখিতেন । অথর্বববেদে অাছে—“ আমাদের দেশের এ জর জ্বালা কাশী ও মগধে যাউক ৷” আর্য্যের অন্যদেশের লোকদের যে প্রীতির চক্ষে দেখিতেন না, তাহা বুঝিতে পারিতেছ। ক্রমে ক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অায্যপ্রভাব বারাণসীতে আসিয়া বিস্তৃত হয় ; সে সময়ে ধৃতরাষ্ট্র নামে বারাণসীর একজন রাজা অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। কিন্তু তাহার এ যজ্ঞ নিরাপদে সম্পন্ন হইল না । ভরতবংশের রাজা শক্রজিৎ ধুতরাষ্ট্রের অশ্ব ধরিয়া রাখিয়াছিলেন। এই ভাৰে যজ্ঞ বিফল হওয়ায় রাজা ধৃতরাষ্ট্র বৈদিক-ধৰ্ম্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারাইয়াছিলেন । কিন্তু রাজা ধৃতরাষ্ট্রের উত্তরাধিকারীরা একে একে বৈদিক-ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । কাশীতে আর্য্যগণের শিক্ষা ও সভ্যতা ক্রমশ: বিস্তার লাভ করিতে থাকে। কাশীর রাক্ত। অজাতশত্রু, নিজে দার্শনিক ও সুপণ্ডিত ছিলেন । র্তাহার দ্বারা অাৰ্য্য শিক্ষা ও সভ্যতা কাশীরাজ্যে প্রচারিত হইয়াছিল। সে যাহাই হউক না কেন, প্রথম খৃষ্টাব্দের পূৰ্বৰ সময় পৰ্য্যন্ত তক্ষশিলা ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাকেন্দ্ররূপে পরিচিত ছিল । - >8d२


জাতক পড়িয়া আমরা জানিতে পারি যে, সে সময়ে বারাণসীর রাজারা পুত্রদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য তক্ষশিলায় প্রেরণ করিতেন। যথা—“বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তর সময় বোধিসত্ত্ব রাজমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। ষোল বৎসর বয়সেই তিনি তক্ষশিলা নগরে বিদ্যাভাস শেষ করিয়া বেদে এবং অষ্টাদশ কলায় ব্যুৎপন্ন হইলেন। ব্রহ্মদত্ত র্তাহাকে উপরাজ্যে নিযুক্ত করিলেন।” ইত্যাদি কথা বহু জাতকেই আছে । অনেক দরিদ্র ছাত্র সে-কালে বিদ্যাশিক্ষার জন্ত গান্ধার দেশের । রাজধানী তক্ষশিলায় গমন করিত। সে সময়ে বিদ্যাকে দহিসাবে বারাণসী তক্ষশিলার ন্যায় প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারে নাই । বুদ্ধদেবের জীবিতকালেই বারাণসী প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময়ে সারনাথ বিহার বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রসিদ্ধ ধৰ্ম্মকেন্দ্র ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। প্রায় ১,৫•• শত ভিক্ষু ও বিদ্যার্থী এখানে বাস করিতেন । নালন্দার অাদর্শে এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানেও বিবিধ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হইত। চীন পৰ্য্যটক ইউ-য়ান-চাঙ বারাণসী অর্থাৎ সারনাথের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও প্রসিদ্ধি সম্বন্ধে কোন কথা তাহার ভ্রমণ-কাহিনীতে লিখেন নাই । সে যাহাই হউক না কেন, বৌদ্ধযুগে বারাণসী অর্থাৎ সারনাথ যে একটি প্রসিদ্ধ বিদ্যাকেন্দ্র ছিল তাহ1 আমরা নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করিতে পারি। জগদল বিহার জগদল বিহারেও একটি প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল । জগদল বিহার কোথায় ছিল, বলা কঠিন। অনেকের মতে রামপাল --