পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s-وےfoots এখন ভেধে দেখতে হবে যে, পৃথিবীর এই চল্লিশ । মাইল পুরু মাটি-পাথরের খোসা তৈরী কি দিয়ে ? মনে আছে ত বিরানব্বইটি মূল পদার্গের কথা, যারা বাপ অৰস্থায় স্বর্য্য থেকে বেরিয়ে এসেছিল । এই মূল পদার্থগুলোরই নানা রকম যোগাযোগ হয়ে গিতিমণ্ডলের পাথরের দেহ তৈরী । ভূতত্ত্বে পাপর বা শিলা শব্দের একটা বিশেষ অর্থ আছে । শাল গ্রাম শিলা ও পাথর, তোমাদের লেখবার শ্রেট পেন্সিলও পাপর, তাজমহল যে ময়র দিয়ে তৈরী সেও পাথর, কাকর বালি ও পাথর, মাটি কাদা ও পাথর, রাণীগঞ্জের খনি থেকে যে কয়লা তোলা হয়, সে ও পাথর। নরম কি শক্ত, তাতে কিছু এসে যায় না। এ কঠ পাপৰ কোথা ও শক্ত, কোথাও বা নরম । বিজ্ঞানের চোখে মাপোল পাথর ও চা-খড়ি একক পদার্থ, হীরা ও কয়গা একক পদার্থ । এরা সবাই পাপর । এই পাথর ইচ্ছে আমাদের ক্ষিতিমণ্ডলের উপাদান । আর পাপবের উপাদান হচ্ছে রসায়নবিদ্যার সেই নিরানলপ ইট। মৌলিক পদার্থ যাদের কপ। তোমাদিগকে বার বার বলেছি । এর সব গুলোর নাম তোমাদের এখনই জানার দরকার নেই। তবে যে এগারটা সব চেয়ে বাপক, অর্থাৎ ক্ষিতিম গুলের সাড়ে পনের অানা ভাগ সেগুলো দিয়ে তৈরী, তাদের নাম শিখে 474 1 5131 #0.55 –() xv g e11, Silicon, Carbo11 Sulphur, ( 'hlorino, Sodium, l’otassium, Calciııııı, Alıııni niıını. 1ron, Magnesium এদের সঙ্গে তোমাদের ভাল করে পরিচয় করে দিই। অক্সিজেন ও সিলিকন মিলে বালি হয়, আর হয় Quartz পাথর, দার নাম একটু পরে আবার করব। কার্বন (কম্বুল) ও সলফর ( গন্ধক ) তোমরা ত চেনহ । কোরিন ও সোডিয়ম মিলে হয় খাবার হন। এ-কথা আগে বলেছি। পোটালিয়াম সোডিয়ামেরই মতন আর এক ধাতু। এই দুই ভাইকে প্রকৃতিতে মোলিক অবস্থায় দেখা যায় না। কেন না, হাওয়াতে ৰার করলেই এরা অক্সিজেন খেয়ে পটাশ ক্ষার ও সোডা ক্ষার হয়ে যায়। কালসিয়নের ক্ষার তোমাদের নিত্য পরিচিত পানে খাবার চুণ। লোহার সঙ্গে আর নুতন করে তোমাদের কি পরিচয় করে দেব ! লোহা নইলে ত সংসার অচল হয়ে যাবে। এলুমিনিয়মও তোমাদের চেনা জিনিষ । এই ধাতুর তৈরী বাসন ত আজকাল ঘরে ঘরে ব্যবহার ইচ্ছে । বাকী রচল ম্যাগনিলিয়ম । সেও তোমাদের অচেনা জিনিস নয়। Ֆ8 Գե YYMS AASAASAASAASAAAS AAASASAASAASAASAASAASAAAS দেওয়ালীর সময় যে তার জালিয়ে সাদা ৰিজলীর অালো কর, সে তার এই ম্যাগনিসিয়মের । মোটের উপর এই এগারটা আদিম পদার্থের বোগাযোগে ক্ষিতিমণ্ডল তৈরী হয়েছে। তবে এর কোন কোনট-বিশেষতঃ অঙ্গার-পকৃতিতে মৌলিক অবস্থাতেই পাওয়া যায় । আগে তোমাদিকে পাথর কথাটার মানে বলেছি । এপন আর একটি কথা তোমাদের শিখতে হবে – খনিজ । পাথরে ও খনিজে তফাৎ হচ্ছে এই যে, একই পাথরে নানা রকম খনিজ মেশান থাকতে পারে। ফটকিরি, তুতে, মুন, চা-খড়ি এই রকম যে । সব যৌগিক পদার্থ মাটিতে আছে তাদিকে বল৷ হয় খনিজ । যে কোন জায়গা থেকে একট পাথরের চাঙ্গ ডা তুলে এনে অণুবীক্ষণ দিয়ে সযত্নে পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে যে, তার ভেতর নানা রকম আলাদা আলদা খনিজ পদার্থ রয়েছে । প্রত্যেক খনিজ পদার্থের উপাদান কিন্তু একেবারে স্থিব অর্থাৎ এক সের তুতের ভিতর তামা কতটা, গন্ধক কতটা, অক্সিজেন কতটা, তা এক মিনিটে কাগজে কলমে হিসেব হতে পারে । তেমনি, এক সেল তুনে কতখানি সোডিয়ম আছে, কতখানি কোরিন আছে, তারও হিসেব একেবারে স্থির । কিন্তু এপ সের বেলে পাথর, এক মুঠো কাকর বললে তার ভেতরটার সম্বন্ধে এ রকম কিছুই স্থির জানা নেই। সেই কাকরে কি বেলে পাথরে কি কি খনিজ আছে, আগে দেখতে হবে । তারপর জানা যাবে যে, কোন কোন ও কত কত মৌলিক পদার্গ দিয়ে সেই পাথরটা তৈরী হয়েছে। আশা করি, তোমরা তফাৎটা বুঝলে । এই যে খনিজ পদার্গের নাম তোমাদের কাছে করলাম, এল অধিকাংশেরই আবার ভেতরটা দানাদার পৰ্থাৎ পল-কাট—যেমন মিছরি, ফটকিরি, তু"তে । প্রত্যেক খনিজের দানার গড়ন অtলাদা । রঙ্গও নানা রকম। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে তৎক্ষণাৎ গড়নটা বোঝা যায়, আর আমনি চেনা যায় যে, পদার্থটা কি । হীরা, নীলা, চুনী, পান্না ইত্যাদি জহরৎ, যা মেয়েরা গহনাতে পরে, তারাও খনিজ পদার্থ। রঙ্গ ও পল কাটা গড়নের জন্যই ত তাদের এত কদর ! বে-দানা খনিজ পদার্থ প্রকৃতিতে বেশী নেই । যা আছে তার মধো ক চই তোমাদের পরিচিত । কাচ প্রকৃতিতে কোথায় কি ভাবে পাওয়া যায়, তা পরে যথাস্থানে বলব। খনিজ পদার্থ প্রায় দু হাজার -- ---