পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ. --------- পরে তঁহারই ভ্ৰাতা কুফ ১৮ পৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন । হয়ত তিনি রাজ্যপাহীরক ছিলেন । তাতার নাম, মহিষী নয়নিকার নানাঘাট-লিপিতে পাওয়া মায় না । কুষ্ণের পরবত্তী রাজা সিমুকের পুত্ৰ শাতকণী ছিলেন । এষ্ট শাতকণী মগধরাজ পুষ্যমিত্ৰ শুঙ্গ ও কলিঙ্গরাজ খারবেলের সমসাময়িক । এই সময় শুঙ্গদের সহিত শাতবাহনদের বিরোধ উপস্থিত হইয়াছিল ও ৩াখারত ফলে বোধ হয় উজ্জয়িনী নগরী শাহবাeনদের অধিকারভুক্ত হয়। শীতকণী পুয়ামিত্র শুঙ্গের স্যায় অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন । এই যজ্ঞের অনুষ্ঠান রাজ-চক্রল হীরাই করিতে পারিতেন। অতএব শাত কণী সে একজন পরাক্রান্ত রাজা ছিলেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । ব্রাহ্মণদিগকে তিনি দক্ষিণ-স্বরূপে প্রভূত লিপ্ত দান করিয়াছিলেন । পুস্বামিত্র শুঙ্গের সহিত বিরোধে তিনি অবশেষে জয়ী হইয়াছিলেন কি স্ব কলিঙ্গেশ্বর খারবেলের সহিত সংঘসে তাহার ভাগা-বিপর্যায় ঘটিয়াছিল। এই শীত কণীব বিধব। মহিষী নয়নিক নানাঘাট-লিপি উৎ কাণ করাইয়াছিলেন। শতিকণীৰ পরবর্তী অনেক রাজার বিষয় আমরা প্রায় কিছুই জানি না। এইটুকু মাত্র বলিতে পারা যায়, খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর অপরাদ্ধে শুঙ্গ-রাজশক্তি অস্তমিত ই চলে পর শাওবাহনেবা পুনৰ-মালব পর্যাস্ত নিজেদের অধিকার বিস্তৃত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । মুদ্র ও শিলালিপির প্রমাণ হইতে আমরা ইহা অবগত হইতে পারি। ভিলসার নিকটবৰ্ত্তী সাটীস্থপের তোরণদ্বারে উৎকীর্ণ একটা লিপিতে "সিরি শতিকণী’ এই নাম পাওয়া গিয়াছে । এই শাতকণী খস্টপূর্বব প্রথম শতাব্দীর শেষ ভাগে বৰ্ত্তমান ছিলেন । এই সময় শাতবাহন সাম্রাজ্য সিমুকের ---* >8br8 উত্তরে মালবদেশ হইতে দক্ষিণে কৃষ্ণা নদী পর্যন্ত বিস্তার লাভ করিয়াছিল। ইহার কিছুকাল পরেই কাশ্ববংশের পতন হইয়াছিল। হয়ত শাতবাহনেরা কিছুকাল মগধ দেশেও শাসন করিয়াছিলেন—তামিল সাহিত্যে ই তার প্রমাণ অাছে । ইহার কিছুকাল পরেই শাতবাহনসৌভাগ্য-রবি অস্তপ্রায় হইয়াছিল। বিদেশীয় রাজগণ কর্তৃক তাহারা পশ্চিম ভারত হইতে ও দক্ষিণাত্যের কোনও কোনও অংশ গুইতে বিতাড়িত হইয়াfছলেন । এই সকল প্রদেশে এক বৈদেশিক রাজবংশ নিজেদের প্রভুত্ব বিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিল ; তোমরা জান যে, সিন্ধু, পাঞ্জাব ইত্যাদি জনপদে অনেক দিন যাবৎ বিদেশীয় রাজাদের শাসন স্বপ্রতিষ্ঠিত ছিল প্রথমে বাহলীক প্রদেশের গ্রাকেরা ও তাহার পর শক, পঙ্গলব ও কুশান জাতির সিন্ধু ও পাঞ্জাব অধিকার করিয়াছিল। প্রথমে শকের গ্রীকদিগকে পাঞ্জাব হইতে বিতাড়িত করিয়াছিল । তাহ1র পর পঙ্গললজাতি পাঞ্জাব অধিকার করিয়াছিল। এই সকল জাতিদের কথা তোমাদিগকে পরে বলিব । এখন কেবল এইটুকু জানিয়া রাখ যে, ইহাদের প্রধান শাসনকৰ্ত্তা একজন রাজাধিরাজ হইতেন (King of Kings)। তাঙ্গার অধীনে অন্যান্য প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তা প্রতিনিধিস্বরূপ থাকিতেন । এই সকল প্রতিনিধি ক্ষত্রপ’ নামে অভিহিত হইতেন । ‘ক্ষত্রপ’ কথাটি সংস্কৃত নহে—ইহা প্রাচীন পারস্য ভাষার ‘ক্ষশ্ব,পাবন’ শব্দ হইতে উৎপন্ন। ক্ষত্রপ-শাসন প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যে প্রবৰ্ত্তিত ছিল । পরবর্তী শক ও পহলব সাম্রাজ্যেও এইরূপ শাসন স্থাপিত হইয়াছিল। ভারতবর্ষেও এই সকল বিদেশীয় জাতির স্বদেশে প্রচলিত ক্ষত্রপ-শাসন প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। মনে *g, *asustfälzo, (King of Kings) - -- - مهم