পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা বিড়ালকে বল “বাঘের মাসী। কেন বাঘের মাসী বল, লে কথা পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি। বাঘের নানা স্থানে নানা নাম। পশ্চিমাঞ্চলের লোকেরা বাঘকে বলে "লের” । সুন্দরবনে বলে ‘শল বা শেয়াল’ । আবার সেখানকার লোকেরা কোথাও কোথাও "বড় কৰ্ত্তা’ বলিয়াও বাঘকে অভিহিত করিয়া ধাকে । প্রাণিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা বাঘের শরীরের গঠনের সহিত বিড়ালের অঙ্গ-গঠনের আশ্চর্যারূপ সাদৃপ্ত দেখিয়া বাঘকে বিড়ালজাতীয় জীব বলেন,—একথা তোমরা জীন ৷ বাঘের চোথ, মুখ, নাক, হাত-পা, পাকস্থলী,এমনকি কণ্ঠনালী, সমুদয়ই বিড়ালের মত। বাঘের ন্যায় সিংহও বিড়ালজাতীয় জন্তু । ইহাদের চক্ষু ও বিড়ালের চক্ষুর ন্যায়। এই জন্য সন্ধা হইলে ইহারা ভাল দেখিতে পায় । কিন্তু বাঘের শিকারের সম্পূর্ণ অন্ধকারে আবার ভাল রীতি দেখিতে পায় না । বিড়াল যেমন চুপি চুপি চোরের মত শিকার ধরে, বাঘও তেমনি চোরের মত ধীরে ধীরে চুপি চুপি শিকার , সন্ধানে বাহির হয় । ছবিতে দেখ, স্বন্দরবনের বাঘের রাজা কেমন শিকার সন্ধানে চলিয়াছে ! বাবের গা বা ও বিড়ালের থাবার মত। তোমরা অনেক সময়েই তোমাদের ৰাড়ীর পুতুমণিকে হন্দুর মারিয়া মুখে করিয়া লইয়া যাইতে দেখিয়াছ। বাদও তেমনি গরু, বাছুর, হরিণ এই সব শিকার করিয়া কামড়া হয়। ধরিয়া লঙ্কয়া যায়। বিড়ালের জিহব। যেমন কর্কশ, সিংহ ও বাঘ্রের জিহবাও তেমনি മttഠഭഭ ജല്ലേ?


به-به- -به-به-به

নয় ? যে সকল বাঘ গভীর বনের মধ্যে বাস করে, তাহাদের গায়ের বর্ণ অধিকতর ঘোরাল ও গাঢ় হয় । আর যে সকল বাঘ অপেক্ষাকৃত খোলা জায়গায় থাকে, তাদের গায়ের রঙ কিছু পাতলা ও ফিকে হয় । উত্তর দেশের বাঘের গায়ের রঙ এত ফিকে যে, সে প্রায় শাদা বলিলেও চলে । শাদা বাঘ ও কাল বাঘ কথনও কখনও দেখা যায়। একবার সে অনেক দিন আগে চট্টগ্রাম জেলায় এক কাল রঙের বাঘ দেখা গিয়াছিল । বাঘ ও বাঘিনীর আকৃতি, অবয়ব ও রূপলাবণোও অনেক পার্থক্য আছে। বাঘিনীর শরীর এবং মাথা বাঘ অপেক্ষা ছোট হয় । বাঘিনী একবারে দুইটি হইতে চারি পাঁচটি শাবক প্রসব করে। শাবকগুলি প্রথমতঃ খুব ছোট ছোট হয়। শীত বা বস স্ত ক’লেই বাঘিনীর বাচ্চা হয় । একশত পাঁচ দিনে বাঘিনী শাবক প্রসব করে । বাচ্চা হইবার পর বাঘিনীর প্রকৃতি অত্যন্ত ভীষণ হয়। যদি কোন প্রকারে বাঘিনীর শাবক নষ্ট হয়, তাহা হইলে তাহার ককশ । উছাদের জিহবায়ু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্ত ক্টাটার স্তায় পদার্থ আছে, তাছার সাহায্যে, তাহারা যে জন্তু শিকার করিয়াছে, তাহীদের গায়ের সমুদয় মাংস নিঃশেষে চাটিয়া লইয়া থাকে। বাধের চোখের মণি গোল। লেজ লম্ব লেজের শেষ দিকে লোম নাই। গালে দাড়ি ও জুলফির অনুরূপ কড়া লোম আছে । চিবুক ও ওষ্ঠে লোম আছে । বাঘ যখন রাগিয়া উঠে, তখন তাহার গোফ ও দাড়ি ফুলিয়া খাড়া হয়। বিড়াল রাগিলে যেমন করে, বাঘও রাগিলে তেমনি করিয়া থাকে । ৰিড়াল ও বাঘের স্বায়ু একই প্রকার। বাঘের গায়ের রঙের কথা বলিয়াছি। পুর্ণবয়স্ক ও সুস্থ বাঘের বর্ণ অতীব সুন্দর। পাটকিলে রঙের উপর লম্বা লম্বা কাল কাল দাগ দেখিতে বেশ;কেমন, - - - লাঘ ও বাসিনী উপদ্ৰৰে আশে পাশের গ্রামের করাই বিপজ্জনক হুইয়া উঠে । বাঘিনী অত্যন্ত সন্তান-বৎসল। বাচ্চ হুইবার পর শাবকের পালন, রক্ষা ও শিক্ষা লইয়াই সে অত্যস্ত বাস্ত পাকে । বাঘিনী অত্যন্ত লাহল, সতর্কতা ও প্রচণ্ড সাহসিকত, সহকারে শালকদিগকে রক্ষা করে । শাবকের। যতদিন সম্পূর্ণরূপে সৰল, সক্ষম ও আত্মরক্ষা করিবার মত শিক্ষা লাভ না করে, তত দিন তাহাদিগকে কাছ ছাড়া করে না । বাচ্চ; যখন দুধ ছাড়ে, তখন বাছুর, কচি হরিণ, শূকর প্রভৃতি শিকার অনিয়া তাহাদিগকে খাওয়াইয়ু থাকে। লোকদের লাস ৭ালিনীর সন্তান স্নেহ ծ G:Ե-Տ تهیه-ه