পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

!-------- অকস্মাৎ বজ্রপাত বিড়ালীর মাথে, ভাঙ্গিল মুখের স্বপ্ন ভাড় ভাঙ্গা সাথে । ভাঙ্গা কলসীর কণা গলায় রছিল ; উচ্চ পুচ্ছ করি পুসী ছুটিয়া চলিল । বহুদূর গিয়া এক বটবৃক্ষ তলে বিশামে বসিল হায়, পিঠ যায়ু জ'লে। ক্ষীরের মিষ্টতা আর লাঠির প্রছার, কোনটা কেমন মিষ্ট করিছে বিচার। হেনকালে সেথা এক শেয়ালী আইল, বিড়ালীকে সম্বোধিয়া কহিতে লাগিল,-- “ওগো মাসী, হাসিখুসী দেখি না যে মুখ, মুখ দেখে মনে হয় প্রাণে বড় দুখ । विज्राढनँौन्द्व क्लन्ग्ल्यान्वञ्प-=घाखा গলায় হাড়ির কাণা, একি চমৎকার, কি সাধে পরেছ বল হেন অলঙ্কার ?” বিড়ালী বলিছে, "বাছা কি বলিব আর । ভাবিয়া দেখিলু চিত্তে অসীর সংসার । - -------- Ֆ0 Ե Գ শেষকালে প্রাণপণে হরি বলে ডাকি, মিছে সংসারের ফাঁদে পড়ে কেন থাকি । বৈরাগ্যে আমার এবে পরিপূর্ণ মন, কলসী বাধিয়া গলে যাচ্ছি বৃন্দাবন।” শেয়ালী বলিছে-“মালী, পিঠে কেন দাগ, মুখে ক্ষীর মেখে কেবা করেছে সোহাগ ?” বিড়ালী দেখিল সব বুঝেছে শেয়ালী, খাটিল না খাটিল না মিছা চতুরাগী। মেউ মেউ করি সেই পিছু পানে হটে, কথা কাটাকাটি হ’ল দুই শঠে শঠে। শেয়ালী বলিছে, “মাসী, বৃথায় কোন্দল, ভাঙ্গা ভাড় গলে দেখি বুঝেছি সকল । দধি দুগ্ধ ক্ষীর সব চুরি করে খাওয়া, মা'র খেয়ে দুঃখ পেয়ে বৃন্দাবনে যাওয়া । কাহার না পায় হালি শুনে হেন বাণী, চোরার মুখেতে সদ। ধৰ্ম্মের কাঙ্গিনী।